‘সেজানের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিল শ্বেতা’
Published: 29th, June 2025 GMT
ভারতীয় টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। ১৯৯৮ সালে ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এ সংসারে জন্ম নেয় অভিনেত্রী পলক তিওয়ারি। পরে রাজার বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতনের মামলা করেন শ্বেতা। ২০১২ সালে রাজার সঙ্গে শ্বেতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিবাহবিচ্ছেদের বহু বছর পর রাজা চৌধুরীর অভিযোগ, ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’ সিরিয়ালের সহশিল্পী সেজান খানের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল শ্বেতা।
কয়েক দিন আগে হিন্দি রুশকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজা চৌধুরী। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “২০১২ সালে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। আমি মনে করি, এটা ২০০৩ সালেই হওয়া উচিত ছিল।”
সেজানের সঙ্গে শ্বেতার পরকীয়া সম্পর্কের ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন রাজা চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাদের একটি গাড়ি ছিল। ওই গাড়িতেই আমার কাগজপত্র ছিল, আর আমি কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। এরপর আমি শ্বেতার শুটিং সেটে যাই। আমি পৌঁছে দেখি, শ্বেতা সেজানের সঙ্গে গাড়িতে করে আসছে। অথচ সকালে তাদের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখনো তারা সেটে পৌঁছায়নি।”
আরো পড়ুন:
‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য
৯ দিনে কত আয় করল আমিরের সিনেমা?
“শ্বেতার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। সহকর্মীর সঙ্গে যেতেই পারেন। কিন্তু যখনই প্রশ্ন করতাম, তখনই শ্বেতা আমাকে মাতাল বলা হতো। শুধু পলকের (মেয়ে) জন্য শ্বেতার কটূক্তি সহ্য করেছি। যার ফলে, এ বিষয়েও চুপ থাকতাম।” বলেন রাজা চৌধুরী।
২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহলির সঙ্গে সংসার পাতেন শ্বেতা। এ বিষয়ে রাজা চৌধুরী বলেন, “অভিনবকে ভাই হিসেবে পরিচয় করিয়েছিল শ্বেতা। সবার কাছেই অভিনবকে ভাই বলেই পরিচয় দিতো। পরে অভিনব শ্বেতার প্রেমিক হয়; তারপর শ্বেতার স্বামী হয় অভিনব।”
২০১৬ সালে শ্বেতা-অভিনবর ঘর আলো করে আসে পুত্র রেয়ানশ। ২০১৯ সালে স্বামী অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শ্বেতা। একই বছরে দ্বিতীয় সংসারের ইতি টানেন এই অভিনেত্রী। মামলা হওয়ার পর অভিনব রাজার কাছে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে রাজা চৌধুরী বলেন, “আমার সঙ্গে দেখা করে কেঁদেছিল অভিনব। আমার কাছে এসে অভিনব বলেছিল, ‘আপনি বলুন, এখন আমার কী করা উচিত? ডিভোর্স নিয়ে আপনার সঙ্গে যখন মামলা চলছিল, তখন আমি তার (শ্বেতা) সঙ্গে ছিলাম। সেই অভিশাপ এখন আমার উপরে এসেছে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
যুগোপযোগী করা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, আগামী বছরই চালু
মাধ্যমিক স্তরের চলমান শিক্ষাক্রম আরও যুগোপযোগী করে আগামী বছর থেকে নতুনভাবে চালু করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন এ শিক্ষাক্রমে অভিজ্ঞতালব্ধ, জ্ঞাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত পাঠদান হবে। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রথমে এটি চালু হবে। পরে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ২৫ জুন এ নিয়ে এনসিটিবিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হবে– এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন কারিকুলাম তৈরি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলমান। চলতি মাসে কারিকুলাম বিষয়ে কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল। সেটি পিছিয়ে আগামী জুলাইয়ে করা হবে বলেও জানান এনসিটিবি কর্মকর্তারা।
এনসিটিবির সচিব সাহতাব উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই-বাছাই করে নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকেই। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও পরে ক্রম অনুসারে অন্য শ্রেণিতে তা চালু করা হবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাতবার শিক্ষাক্রম বা শিক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। প্রথম পাঁচবার শিক্ষাক্রমের মূল থিম ঠিক রেখে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে বড়সড়ো পরিবর্তন আনা হয়। সে বারের শিক্ষাক্রমটি ‘সৃজনশীল পদ্ধতি’ নামে পরিচিত। এ পদ্ধতি প্রণয়নের ৯ বছরের মাথায় ২০২১ সালে আবারও নতুন একটি শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুমোদন করা হয়।
সেই রূপরেখা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তখন বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এ শিক্ষাক্রম। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে হাতে-কলমে শেখানো হবে।
অভিভাবকরা সেই শিক্ষাক্রম স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করতে পারেননি। তাদের অভিযোগ ছিল, এমন শিক্ষাক্রমের কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। শিক্ষাক্রম বাতিলে টানা আন্দোলনও হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে একই মাসের শেষ দিকে বাতিল করা হয় সেই শিক্ষাক্রম। ফিরিয়ে আনা হয় ২০১২ সালে প্রণীত আলোচিত সৃজনশীল শিক্ষাক্রম।
এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের শিক্ষাক্রম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কিছু বিষয় ছিল, যা ছিল সময়োপযোগী। নতুন যে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হবে, সেখানে ২০২৩ ও ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয় থাকবে। ২০২৭ সালে চালু হওয়া শিক্ষাক্রম কেমন হবে, তা নির্ভর করবে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যাশার ওপর।