এজাহারভুক্ত আসামি মির্জা আলীসন আজম গ্রেপ্তার
Published: 7th, July 2025 GMT
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদের শহরের ঝিলটুলীস্থ বাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখার হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই আসামির নাম মির্জা আলীসন আজম ওরফে প্রিন্স (৪৫)। তিনি মমিনখার হাট এলাকার মৃত বদু বেপারির ছেলে এবং চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের ছোট ভাই।
এ মামলায় আসামি হিসেবে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফাসহ (৫৫) মোট ১৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে মির্জা আলীসন আজম ১১ নম্বর আসামি।
মির্জা আলীসনের ভাই মির্জা আব্দুল মান্নান বলেন, আজ (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল তার সঙ্গে কথা আছে বলে মির্জা আলীসনকে তুলে নিয়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো.
প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল ২৪ এর সত্ত্বাধিকারী এ. কে. আজাদের ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীস্থ বাস ভবনে চড়াও হয় মহানগর বিএনপি, মহানগর ছাত্রদল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় হা-মীম গ্রুপের ল্যান্ড হেড কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাফিজুল খান (৪০) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেন। এতে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফাসহ (৫৫) ১৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, এ. কে. আজাদের বাড়িতে দলবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ মামলায় ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার হোসেন (৩৮), কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী (৫৬), মহা নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৫৫), মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম (৪৪), মহানগর ছাত্রদল সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ (৪০) প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আস ম এ ক আজ দ নগর ব এনপ র ব এনপ র স আজ দ র ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
ফেনীর দাগনভূঞায় তেলবাহী ট্যাংকার লরির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থান এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বসুরহাট রোডের নতুন পোলের পাশে ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম সুজন চন্দ্র ভৌমিক (৪০)। তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের প্রফুল্ল কুমার ভৌমিকের ছেলে। সুজন ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, ফিলিং স্টেশন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সুজন রাতে কাজ শেষে দিনে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন পাম্প ভবনের উত্তর পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা তেলের গাড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে সুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
ফিলিং স্টেশনের মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘সুজনের কাছে আমি প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি টাকা পেতাম। তিনি টাকা না দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনের কাজে আসতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরের বিষয়গুলো আমার জানা নেই।’
নিহত সুজনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং মা ভারতে থাকেন। সুজন নোয়াখালীর বাড়িতে একাই থাকতেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে—এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।