‘ফাঁস হওয়া অডিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে’
Published: 9th, July 2025 GMT
শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায়, গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। বিবিসি আইয়ের যাচাই করা ওই অডিও বিক্ষোভকারীদের গুলি করার সরাসরি অনুমতি দেওয়ার সবচেয়ে প্রমাণ বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে বিবিসির অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ কথা বলেন তিনি।
সেখানে তিনি লেখেন, “শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন। বিবিসি আইয়ের যাচাই করা ওই রেকর্ডিং অনুসারে, শেখ হাসিনা তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার’ করার অনুমতি দিয়েছেন এবং বলেছেন ‘তাঁরা (এসব বাহিনীর সদস্যরা) যেখানেই তাঁদের (আন্দোলনকারী) পাবেন, গুলি করবেন।”
তিনি বলেন, “এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে তিনি জুলাই গনঅভ্যূত্থানকালে বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে বাংলাদেশে।”
বুধবার বিবিসির অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যাচাই করে তারা জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনা নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের দেখা মাত্র গুলি করার।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড স হওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে জামায়াতের কার্যালয়ে মিলল সরকারি সার ও বীজ
ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন পর্যায়ের এক কার্যালয় থেকে সরকারি কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার করেছে সদর উপজেলা কৃষি অফিস। প্রণোদনার এসব সার-বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে তা জমা করায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা। তবে এ ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি জামায়াত নেতাদের।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার সুরাট বাজারে সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় থেকে এসব সার ও বীজ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে ৮ প্যাকেট সরিষার বীজ, ৪ বস্তা ডিএপি সার, ৪ বস্তা পটাশ সার, ১ বস্তা এমওপি সার ও ১৯ কেজি মসুর ডালের বীজ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর সুরাট ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ও কৃষকরা সুরাট বাজারে জামায়াতের কার্যালয়ে সরকারি প্রণোদনার সার বীজ মজুত রয়েছে- এমন অভিযোগ করে সদর কৃষি অফিসে। পরে সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবিব ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ওই সময় ইউনিয়ন মহিলা দলের আহ্বায়ক মনোয়ারা খাতুনের নেতৃত্বে কৃষকরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবীব জামায়াত কার্যালয় থেকে সার ও বীজ উদ্ধার করে সদর উপজেলা কৃষি অফিসে নিয়ে আসেন।
অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জুনায়েদ হাবীব বলেন, ‘‘সুরাট বাজারের স্থানীয় লোকজন আমাদের অফিসে ফোন করে অভিযোগ জানায়। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সার ও বীজ উদ্ধার করে এনেছি। এসব সার ও বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণের কথা। রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে জমা করার নিয়ম নেই। আমরা যখন সার ও বীজ উদ্ধার করি তখন ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।’’
এ বিষয়ে সুরাট ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘৬ জন কৃষক তাদের সার ও বীজ আমাদের কার্যালয়ে রেখে গেছে। শনিবার সকালে তারা এগুলো নিয়ে যাবে। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এটিকে ভিন্ন রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’’
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নূর এ নবী বলেন, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। সরকারি সার ও বীজ কৃষকের মাঝে দ্রুত বিতরণ করার কথা। কোনো রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাময়িক সময়ের জন্য মজুত রাখাও আইনের লঙ্ঘন। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেব।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব