ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি পুকুরে গোসল করা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে রাতে টর্চলাইটের আলোয় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট দেওয়ানপাড়া ও হালুয়াপাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে সরাইল থানা ভবন এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে আশপাশের আরও ছয় থেকে সাতটি গ্রামের লোকজন সরাইল বৈকাল বাজার এলাকায় সংঘর্ষে যোগ দেন। রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। পরে আদালত তাঁদের কারাদণ্ড দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে হালুয়াপাড়ার কয়েকজন শিশু-কিশোর স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মালিকানাধীন একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। ছোট দেওয়ানপাড়ার কিশোরদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুকুরটি সরাইল থানা ভবনের কাছাকাছি অবস্থিত। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিকেলে ছোট দেওয়ানপাড়ার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সালাউদ্দিন সুরুজ হালুয়াপাড়া গ্রামে গেলে তাঁকে সেখানে অপদস্থ করা হয়।

এর জেরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে উভয় গ্রামের লোকজন দা-বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে ছোট দেওয়ানপাড়ার লোকজন সরাইল থানা সড়কে অবস্থান নেয় আর হালুয়াপাড়ার লোকজন অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ও ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে অন্ধকারে টর্চলাইটের আলোয় পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়।

রাত আটটার পর হালুয়াপাড়ার পক্ষে মৌঘলটুলা, চানমনিপাড়া, হাবেলিপাড়া ও স্বল্পনোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে যোগ দেন। অপর দিকে ছোট দেওয়ানপাড়ার পক্ষে সৈয়দটুলা, নিজসরাইল ও আলীনগর গ্রামের লোকজন অংশ নেয়। রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষ সরাইল বৈকাল বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং সরাইল-অরুয়াইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

গুরুতর আহত ছোট দেওয়ানপাড়ার কলেজছাত্র আল আমিন (১৯), ব্যবসায়ী সালমান মিয়া (৩৫), কালা মিয়া (৪০) ও মৌঘলটুলা গ্রামের রাজন মিয়াকে (২৬) জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ছোট দেওয়ানপাড়ার ব্যবসায়ী সালমান মিয়া ও প্রবাসী জাবেদ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একই গ্রামের ছোটন মিয়ার ছাগলের খামার থেকে ২৮টি ছাগল লুট করে নিয়ে যান প্রতিপক্ষের লোকজন।
রাত সাড়ে ১০টার পর পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

মোশারফ হোসাইন রাতে তাঁর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১ জনকে তিন দিনের এবং অন্য ১৪ জনকে দুই দিনের কারাদণ্ড দেন। তবে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউই সংঘর্ষে জড়িত দুই গ্রামের বাসিন্দা নন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সবাইকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা যদি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হতেন, তাহলে তিন-চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলার সময় তাঁরা কীভাবে ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন? দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র ম র ল কজন স ঘর ষ সদস য অবস থ ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রটে গেছে—নির্বাচন হবে না, এই গুজব কেন?

গুজব কী? এর সরল অর্থ হলো মিথ্যা রটনা। কেউ এমন একটা কিছু বলল, যেটা বাস্তবে নেই, কিন্তু সেটাকেই সত্য বলে প্রচার করা। কথায় আছে, একটা মিথ্যা বারবার বললে সেটি সত্য হয়ে যায়। মানুষ সেটিই বিশ্বাস করতে থাকে। তখন আসল সত্যটি হারিয়ে যায়। আর আসল সত্যের কথা তখন কেউ যদি উচ্চারণ করে, সে পড়ে যায় মহাঝামেলায়।

একটা প্রবচন আছে, ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’। শব্দশিল্পীরা চমৎকার কিছু কথা আউড়ে গেছেন, যেমন ‘মিথ্যার মতো সুন্দর’ কিংবা ‘সত্যের মতো বদমাশ’।

ইন্টারনেট ঘেঁটে গুজব প্রসঙ্গে বেশ কিছু উদ্ধৃতি পেয়েছি। একেকটা উদ্ধৃতির সঙ্গে বিখ্যাত কোনো মনীষীর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না:

১. গুজব হলো অপ্রমাণিত সত্যের ছদ্মরূপ: মার্ক টোয়েন।

২. গুজব ছড়ানো সহজ, কিন্তু তা মোকাবিলা করা কঠিন : আলবার্ট আইনস্টাইন।

৩. যে ব্যক্তি গুজব বিশ্বাস করে, সে নিজের বিচারক্ষমতা হারায় : হেলেন কেলার।

৪. যে তথ্য যাচাই ছাড়া ছড়ায়, তা গুজবের সমতুল্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৫. গুজবের প্রভাব কখনো হালকা হয় না: নেলসন ম্যান্ডেলা।

৬. গুজব মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং বিশ্বাসকে ক্ষয় করে : চার্লস ডিকেন্স।

৭. গুজব হলো অজ্ঞতার ফল : লিও তলস্তয়।

৮. গুজব ছড়ানো মানে অন্যের মানহানি করা : উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার।

আরও পড়ুনফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে যা ঘটবে, সেটা বহন করার মতো শক্তি আমাদের নেই২৩ অক্টোবর ২০২৫

মানুষ অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়। তারপর ঠেকে শেখে। ওপরের বাক্যগুলো নীতিকথা মনে হলেও এসবই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত উপলব্ধি।

এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। মুসলমানের বিশ্বাসের ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র কোরআন। দেখা যাক সেখানে এ প্রসঙ্গে কী বলা হয়েছে। সুরা বনি ইসরাইলের ৩৬ নম্বর আয়াতে তিনি বলছেন, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, তা অনুসরণ কোরো না। কান, চোখ, মন—প্রত্যেকের কৈফিয়ত তলব করা হবে।’

এ দেশে আমরা অনেকেই ‘হুইন্যা মুসলমান’। আমাদের যা বলতে ও করতে নিষেধ করা হয়েছে, আমরা তা-ই বেশি বেশি করি। আমরা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াই, ঝগড়া তৈরি করি। কেন করি? আমার মনে হয়, এর পেছনে দুটি কারণ আছে।

যদি ১৯৭১ সালকে ভিত্তি বছর ধরি, তাহলে যেসব সমস্যার সমাধান গত ৫৪ বছরে হয়নি, বা ১৯৪৭ সালকে যদি ভিত্তি বছর ধরি, তাহলে যার সুরাহা গত ৭৮ বছরে হয়নি, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকিয়ে দিতে পারলেই কি সব মুশকিল আসান হয়ে যাবে?

এক. কোনো একটা মতলব থেকে আমরা মিথ্যা প্রচার করি, গুজব রটাই। একটা মিথ্যাকে আমরা এমন নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করি যে মানুষ সেটি বিশ্বাস করে পঙ্গপালের মতো ছোটে। দুই. সমাজে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক আছে। তারা কাউকে ভালো থাকতে দেয় না। গুজব রটিয়ে মজা পায়। এটা তাদের কাছে বিনোদন। তাদের রটনায় সমাজের যে কত ক্ষতি হয়ে যায়, এ নিয়ে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ এক আজব জিনিস বানিয়েছেন—ফেসবুক। আমরা এর একটা গালভরা নাম দিয়েছি—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তো জাকারবার্গের ফেসবুক এখন একটা গুজবের আড়ত। সম্পাদনার বালাই নেই। মূলধারার গণমাধ্যমে সবার প্রবেশাধিকার নেই।

আরও পড়ুনজাতীয় নির্বাচন ঘিরে শঙ্কা ও সতর্কতাগুলো কী০১ ডিসেম্বর ২০২৫

কিন্তু ফেসবুক হচ্ছে উন্মুক্ত মাধ্যম। এখানে সবাই স্বাধীন, যখন যা খুশি বলতে পারছেন, উগরে দিচ্ছেন। আজকাল এখান থেকেই হচ্ছে সাংবাদিকতা। একে বলা যায় ফেসবুক সাংবাদিকতা। এখানে সংবাদের উৎস হলো ফেসবুকে পাওয়া খবর। যে যা খুশি বলছে, লিখছে। ওপরে ছড়ি ঘোরানোর কেউ নেই।

শুরুতে মনে হয়েছিল, মূলধারার গণমাধ্যমে যে সিন্ডিকেট কাজ করে, তার দেয়াল ভেঙে মুক্ত সাংবাদিকতার স্ফুরণ ঘটবে। মুশকিল হলো, সবার তো শিক্ষা, রুচি আর লক্ষ্য এক নয়। ফলে একটি সম্ভাবনাময় গণযোগাযোগের মাধ্যম এখন মূর্খ আর ভাঁড়দের ভাগাড়ে পরিণত হতে চলেছে। ক্রমাগত চলছে মিথ্যাচার, অপতথ্য ছড়ানো আর চরিত্রহনন। আর আছে অশ্রাব্য শব্দের ব্যবহার, যেটাকে আমরা বলি স্ল্যাং। বাক্যে ও বক্তব্যে স্ল্যাং ব্যবহারের একটা প্রতিযোগিতা চলছে। যাঁরা শোভন ও সুশীল হিসেবে সমাজে পরিচিত, তাঁরা অনেকেই বাজার পাওয়ার লোভে এই জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন।

একটি পত্রিকায় কিংবা টিভি চ্যানেলে আপনি কাউকে অমুক চতুষ্পদের বাচ্চা বলে গালি দিতে পারবেন না। কিন্তু ফেসবুকে তা পারবেন অনায়াসে। যে কথা আপনি আপনার মা–বাবা বা সন্তানের সামনে উচ্চারণ করতে লজ্জা পাবেন, তা অবলীলায় ঝেড়ে দিচ্ছেন ফেসবুকে।

আরও পড়ুনমেডলিং, ডিপফেক, গুজব ও অপতথ্যের সুনামি ঠেকাবেন কী করে ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে গুজব। মূলধারার মাধ্যমগুলো এর মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। তারা এখন ‘ফ্যাক্ট চেকার’ দিয়ে তথ্য যাচাইয়ে নেমেছে। কিন্তু তারা অনেকটাই অসহায়। মিথ্যার শক্তি বড় বেশি। মানুষের হাতে হাতে মুঠোফোন। ভাত-কাপড়ের পর এটি জীবনযাপনের প্রধান উপকরণ আর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে।

এতক্ষণ মন খারাপ করা কিছু কথা বললাম। এবার আসি একটি সাম্প্রতিক বিষয়ে। বিষয়টি রাজনৈতিক। দেশে একটা নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে, রোজা শুরু হওয়ার আগে। অনুমান করি, নির্বাচনটি হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেই জানা যাবে কোন তারিখে হবে ভোটাভুটি।

ইতিমধ্যে রটে গেছে, নির্বাচন নাকি হবে না। কয়েকজন বেশ জোরের সঙ্গেই এ কথা বলছেন। এটা শঙ্কা বা গুজব যা-ই হোক না কেন, সেটি ভালো বাজার পেয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, নির্বাচন হবে না।

আরও পড়ুনস্বৈরাচারীর সাইবার বাহিনী, গুজব ও সামনের লড়াই১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ার তিনটি কারণ থাকতে পারে। এক. বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাবে না; দুই. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন খারাপ হবে যে নির্বাচনের আয়োজন করা আদৌ সম্ভব হবে না; তিন. ভয়ংকর রকমের একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, যেখানে অগুনতি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া নির্বাচন সময়মতো না হওয়ার আর কোনো কারণ দেখি না। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে আগেভাগেই নেতিবাচক প্রচারণার কারণে মানুষের মনে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে যেতে হবে। কারণ, এটি ‘অন্তর্বর্তী’। একটি নির্বাচনই কেবল এই সরকারকে একটি এক্সিট দিতে পারে। ওপরে যে তিনটি সম্ভাব্য কারণের কথা উল্লেখ করেছি, তার কোনো একটি না ঘটলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।

নির্বাচন না হলে এর চেয়ে ভালো কী হবে, সেটি বোঝা যাচ্ছে না। সমাজে একটি মত আছে—নির্বাচন করে লাভ কী? এতে কি জনগণের মুক্তি আসবে? আমাদের
সব ইহজাগতিক সমস্যার সমাধান হবে? জানি, হবে না। কিন্তু নির্বাচন না হলে কি সব সমস্যার চটজলদি সমাধান হয়ে যাবে?

আরও পড়ুনফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যদি ১৯৭১ সালকে ভিত্তি বছর ধরি, তাহলে যেসব সমস্যার সমাধান গত ৫৪ বছরে হয়নি, বা ১৯৪৭ সালকে যদি ভিত্তি বছর ধরি, তাহলে যার সুরাহা গত ৭৮ বছরে হয়নি, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকিয়ে দিতে পারলেই কি সব মুশকিল আসান হয়ে যাবে?

সুরা হুজুরাতের ৬ নম্বর আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ, যদি কোনো সত্যত্যাগী তোমাদের কাছে কোনো খবর আনে, তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজান্তে তোমরা (তাদের আনা খবর শুনে) কোনো জনগোষ্ঠীকে আঘাত না করে বসো এবং পরে তোমাদের কাজের জন্য লজ্জা না পাও।’

মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

মতামত লেখকের নিজস্ব

[৫ ডিসেম্বর ২০২৫ প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে এ লেখা ‘গুজবে সয়লাব দেশ, আমরা কী করিব’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।]

সম্পর্কিত নিবন্ধ