বাড়িতে একাই থাকতেন রাকিবুল হাসান। নিজেই রান্নাবান্না করে খেতেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁকে ডাকতে যান ফুফু শিউলি আক্তার। গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে রাকিবুলের মুখের ওপর বালিশচাপা দেওয়া অবস্থায় পান। বালিশ সরানোর পরপরই দেখেন তাঁর গলাকাটা, মাথা ও মুখজুড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রাকিবুল হাসান (১৮) হাটুলিয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তাঁর বাবা ও মা নরসিংদীতে একটি গরুর খামারে শ্রমিকের কাজ করেন। রাকিবুল ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি বাড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বাড়ি থেকে রাকিবুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শিউলি আক্তার বলেন, ‘বন্ধুদের লগে আড্ডা দিয়া এলহাই ঘরে থাকত পোলাডা। কারা জানি মাইর‍্যা থুইয়া গেল। কোবাইয়া শেষ কইরালছে। কার এমন ক্ষতি হেই করছিল।’

রাকিবুলকে কে বা কারা এভাবে হত্যা করেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলতে পারছেন না স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যা–রহস্য উদ্‌ঘাটনে খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাকিবুলের বন্ধুরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে কী কারণে এবং কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বালিশ সরাতেই ভাতিজাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান ফুফু

বাড়িতে একাই থাকতেন রাকিবুল হাসান। নিজেই রান্নাবান্না করে খেতেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁকে ডাকতে যান ফুফু শিউলি আক্তার। গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে রাকিবুলের মুখের ওপর বালিশচাপা দেওয়া অবস্থায় পান। বালিশ সরানোর পরপরই দেখেন তাঁর গলাকাটা, মাথা ও মুখজুড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রাকিবুল হাসান (১৮) হাটুলিয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তাঁর বাবা ও মা নরসিংদীতে একটি গরুর খামারে শ্রমিকের কাজ করেন। রাকিবুল ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে সম্প্রতি বাড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বাড়ি থেকে রাকিবুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শিউলি আক্তার বলেন, ‘বন্ধুদের লগে আড্ডা দিয়া এলহাই ঘরে থাকত পোলাডা। কারা জানি মাইর‍্যা থুইয়া গেল। কোবাইয়া শেষ কইরালছে। কার এমন ক্ষতি হেই করছিল।’

রাকিবুলকে কে বা কারা এভাবে হত্যা করেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলতে পারছেন না স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যা–রহস্য উদ্‌ঘাটনে খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাকিবুলের বন্ধুরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে কী কারণে এবং কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ