বন্দরে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে পাষান্ড ছোট ভাই ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সন্ত্রাসী হামলায় ৩ নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো হাসিনা বেগম (৫২) ডলি বেগম (৪০) আফসানা বেগম (২৫) ও সিয়াম (২০)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

শনিবার (২১ জুলাই) সকাল ১১টায় পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আহত বড় বোন হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দুপুরে হামলাকারি পাষান্ড ছোট ভাই ইকবাল ওরফে লেকিন বাবু তার স্ত্রী বকুল বেগম, এবং তাদের দুই মেয়ে কলি বেগম ও মলি বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুরান বন্দর শহীদি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম (৫২) তার ছোট দুই বোন আসমা বেগম ও ডলি বেগম ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ১.

২৫ শতাংশ জমি হাসিনার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে বিক্রি করেন।

জমি বিক্রির পর থেকেই ছোট ভাই  ইকবাল ওরফে লেকিন বাবু তার স্ত্রী বকুল বেগম (এবং তাদের দুই মেয়ে কলি বেগম  ও মলি বেগম অভিযোগের বাদিনীকে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছেন। শনিবার সকালে তিনি উক্ত জায়গায় নির্মাণকাজ শুরু করলে উল্লেখিত বিবাদীরা এসে কাজ বন্ধ করে দেন।

পরে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাপঝোক করতে গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী পরিবার  নির্মাণ শ্রমিকসহ উপস্থিত সবাইকে এলোপাথাড়ি মারধর করে আহত করে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ