সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা—

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের জন্য: ৫ জন

নিম্ন আদালতের জন্য: ৩ জন

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের জন্য: ১ জন।

সর্বমোট: ৯ জন

আবেদনের অন্যতম কয়েকটি শর্তাবলি—

আবেদনকারীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং ঢাকায় বসবাসকারী হতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হিসেবে কমপক্ষে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনএমিরেটস নেবে ১৭৩০০ কর্মী, পাইলট–কেবিন ক্রুর বেতন কত ১ ঘণ্টা আগেআবেদনের প্রক্রিয়া—

আগ্রহী প্রার্থীদের নাম, পিতা/স্বামী/মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বয়স, ই-মেইল উল্লেখসহ সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবিযুক্ত পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য-সনদ/সংশ্লিষ্ট বারের সদস্য-সনদ/পেশাগত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং অভিজ্ঞতা সনদসহ সব সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। যে আদালতের জন্য আবেদন করবেন, সেই আদালতের নাম খামের ওপর এবং আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘর–এ খণ্ডকালীন নিয়োগ, অফিস ৫ ঘণ্টা২৪ জুলাই ২০২৫আবেদনের শেষ তারিখ—

আগামীকাল ২৭ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদনপত্র সচিব/সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ভবন নম্বর-৭, কক্ষ নম্বর- ৮০৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর পৌঁছাতে হবে।

*আবেদনের বিস্তারিত দেখুন এখানে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল

কোনো নীতিমালা বা কার্যধারা ছাড়াই প্রতিবেশব্যবস্থার ক্ষতি মূল্যায়ন ও ক্ষতিপূরণ আরোপ–সংক্রান্ত পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের একটি ধারা এবং ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে নির্ধারিত অর্থের ২৫ শতাংশ জমা দেওয়া-সংক্রান্ত পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার একটি উপবিধি প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ আদেশ দেন।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারায় প্রতিবেশব্যবস্থার ক্ষতির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ আরোপের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে ২০২৩ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার ২৭ বিধিতে বলা রয়েছে। বিধিমালার ২৭(২)(ঘ) উপবিধিতে ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে নির্ধারিত অর্থের ২৫ শতাংশ জমা দেওয়ার কথা বলা আছে। ওই দুটি বিধান প্রশ্নে রুল দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালার ২৭(২)(ঘ) উপবিধি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। কোনো নীতিমলা বা কার্যধারা ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিবেশব্যবস্থার ক্ষতি মূল্যায়ন ও আরোপ–সংক্রান্ত পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

মেসার্স হাজী আশরাফ হোসেন সরকার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সরকার এ রিট করেন। রিট আবেদন থেকে জানা যায়, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও বালুমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান গত বছরের ৯ এপ্রিল (২৬ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা) ‘মেঘনা নদী বালুমহালসহ’ দুটি স্থানে বালুমহাল ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন। ১৪৩১ বাংলা বর্ষের বৈশাখ-চৈত্রের জন্য এ দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় মেসার্স হাজী আশরাফ হোসেন সরকার। গত বছরের ১৩ মে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বালুমহালের ইজারার মেয়াদ শেষে জেলা প্রশাসনকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে স্থান ত্যাগ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তী সময়ে অন্য ব্যক্তিকে ১৪৩২ বাংলা বছরের জন্য বালুমহালটি ইজারা দেওয়া হয়।

রিট আবেদনের তথ্যানুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের গত বছরের ১৮ নভেম্বরের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) চলতি বছরের ২৭ জুলাই রিট আবেদনকারীকে (আশরাফ হোসেন সরকার) নোটিশ দেন। শুনানি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২৭ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারার আলোকে পরিবেশ ও পরিবেশগত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭০ লাখ টাকা সরকারের অনুকূলে তা জমা দিতে নির্দেশ দেয়।

এ অবস্থায় পরিবেশ সংরক্ষন আইনের ৭ ধারা, ২০২৩ সালের পরিবেশ সংরক্ষন বিধিমালার ২৭(২)(ঘ) উপবিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের গত ২৭ আগস্টের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আশরাফ হোসেন সরকার চলতি মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আহমেদ ইশতিয়াক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ।

পরে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ৭০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কী ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতি কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা উল্লেখ নেই।

এই আইনজীবী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারায় ক্ষতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। বিধিমালায় আছে, ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে আপিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত অর্থের ২৫ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আপিল–সংক্রান্ত ১৪ ধারায় ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা নেই। মূল আইনে যা নেই, এর বাইরে গিয়ে বিধি দিয়ে শর্ত আরোপ করা যায় না, মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন, হাইকোর্ট রুল দিয়ে রিট আবেদনকারীকে ৭০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পরিবেশ অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে আপাতত তাঁকে ওই অর্থ দিতে হচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৬৫ পদে চাকরির সুযোগ, করুন আবেদন
  • সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় নিয়োগ, পদ ৫০
  • নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, আবেদন ডাকযোগে
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূবিজ্ঞান অনুষদে এমএস প্রোগ্রাম, বহিরাগত শিক্ষার্থীদের সুযোগ
  • একবার হ‌লেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়া‌ত
  • পানি উন্নয়ন বোর্ডে ৪৬৮ পদের আবেদনের সুযোগ আর ২দিন
  • তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে ৪৯৭ পদে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন
  • বিমানবাহিনী নেবে অফিসার ক্যাডেট, দেখুন চাকরির বিস্তারিত
  • বাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা