সেতু মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন বিভাগের নিয়োগ, নেবে ৯ জন
Published: 26th, July 2025 GMT
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
পদের নাম ও সংখ্যা—মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের জন্য: ৫ জন
নিম্ন আদালতের জন্য: ৩ জন
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের জন্য: ১ জন।
সর্বমোট: ৯ জন
আবেদনের অন্যতম কয়েকটি শর্তাবলি—আবেদনকারীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং ঢাকায় বসবাসকারী হতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী হিসেবে কমপক্ষে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনএমিরেটস নেবে ১৭৩০০ কর্মী, পাইলট–কেবিন ক্রুর বেতন কত ১ ঘণ্টা আগেআবেদনের প্রক্রিয়া—আগ্রহী প্রার্থীদের নাম, পিতা/স্বামী/মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বয়স, ই-মেইল উল্লেখসহ সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবিযুক্ত পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্ত দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য-সনদ/সংশ্লিষ্ট বারের সদস্য-সনদ/পেশাগত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং অভিজ্ঞতা সনদসহ সব সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। যে আদালতের জন্য আবেদন করবেন, সেই আদালতের নাম খামের ওপর এবং আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘর–এ খণ্ডকালীন নিয়োগ, অফিস ৫ ঘণ্টা২৪ জুলাই ২০২৫আবেদনের শেষ তারিখ—আগামীকাল ২৭ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদনপত্র সচিব/সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ভবন নম্বর-৭, কক্ষ নম্বর- ৮০৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর পৌঁছাতে হবে।
*আবেদনের বিস্তারিত দেখুন এখানে
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ৫ বছর আগে উচ্চ আদালতের দেওয়া ৯ দফা নির্দেশনা তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা প্রতিপালনের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের ধারাবাহিকতায় আবেদনকারীপক্ষের করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি উর্মি রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আাদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দেন।
সম্প্রতি ঢাকার বায়ুদূষণের বিষয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৮ অক্টোবর এইচআরপিবি সম্পূরক ওই আবেদন করে। আবেদনে ‘ঢাকার বাতাসে আরেক ক্ষতিকর ধূলিকণা’ শিরোনামে ২৭ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী মো. শাহজাহান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী খসরুজ্জামান এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরশিদ আক্তার।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় গত বছর ঢাকায় বায়ুর মান উন্নত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিবাদীপক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বর্তমানে ঢাকার বায়ু দূষিত হয়েছে। ফলে বায়ুর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের রিপোর্টের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং ঢাকায় বসবাসরত মানুষের জীবনরক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ দফা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। শুনানি নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।
হাইকোর্টের ৯ দফার মধ্যে ঢাকা শহরে মাটি/বালু/বর্জ্য পরিবহন করা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা; নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; সিটি করপোরেশনভুক্ত রাস্তায় পানি ছিটানো; রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ির কাজে দরপত্রের শর্ত পালন নিশ্চিত করা; সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচলের সময়সীমা নির্ধারণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধ করা; পরিবেশগত সনদ ছাড়া চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা; মার্কেট/দোকানের প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করার বিষয়গুলো রয়েছে।
‘ঢাকার বাতাসে আরেক ক্ষতিকর ধূলিকণা’ শিরোনামে ২৭ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের সংক্রমণের জন্য দায়ী রেসপিরেবল সিলিকা (আরএস) বা একটি অতি ক্ষুদ্র ধূলিকণার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে রাজধানীর বাতাসে। শুষ্ক মৌসুমে বা নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এ ক্ষতিকর উপাদান বেশি পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও সহনীয় মাত্রার দ্বিগুণের বেশি এর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।