সিদ্ধিরগঞ্জে কোচিং করার পরিচয়ের সুবাদে বন্ধুর বাসা থেকে ৪ মাস আগে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করেন ২ শিক্ষার্থী।

দ্বিতীয়বার প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা দামের আড়াই ভরি স্বর্ণ ও ২২ ভরি রূপা চুরি করে তারা ধরা পড়েন বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে। এ ঘটনা ঘটে গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় মো.

আব্দুল মালেকের বাড়িতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার সিরাজ মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া আরিফের ছেলে মো. রাফিন (১৯) ও হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রবিউলের ছেলে হাসিবুর রহমান(১৯)। তারা দুজনই শিক্ষার্থী। রাফিন নবম শ্রেণি আর হাসিবুর রহমান এবছর এসএসসি পাস করেছে।

চোরাই স্বর্ণালংকার কিনার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো ২ জনকে।  অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।

এঘটনায় বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী আব্দুল মালেকের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম বেলী (৪৫) বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদীর ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার হাসিব (১৪) গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র। কোচিং করার সুবাদে রাফিন ও হাসিবুর রহমানের সঙ্গে তার বন্ধত্ব হয়। তারা সবাই মিলে বাদীর পিত্রালয়ে গ্রুপ স্টাডি করতো।

গত ২৬ মার্চ বাসা থেকে  নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়। যার কোন হদিস মিলছিলনা। গত ২৭ জুলাই বিকেল ৫ টার দিকে গ্রুপ স্ট্যাডি করার সময় রাফিন ও হাসিবুর রহমান কৌশলে শাহরিয়ার হাসিবকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও ২২ ভরি রূপার অলংকার ( যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) চুরি করে চলে যাওয়ার সময় শাহরিয়ার হাসিব দেখে ফেলে।

তখন তারা শাহরিয়ারকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে  শাহরিয়ার চুরির ঘটনা প্রকাশ করলে স্থানীরা অভিযুক্ত দু’শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে জানতে চাইলে তারা আগে ও পরে চুরির কথা স্বীকার করে। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, চোর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তারা কার মাধ্যমে কার কাছে চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রি করেছে তাদের নাম বলেছে।

তাদের দেওয়া তথ্য মতে বিকেল পর্যন্ত আদমজী সোনামিয়া বাজারের একটি জুয়েলারী দোকানদার ও গোদনাইল ২ নং ঢাকেম্বরী এলাকার একজন মেকানিক্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জনের নামে চুরির মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ হ স ব র রহম ন স বর ণ ল ক র স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ