বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেব: তানিয়া বৃষ্টি
Published: 31st, July 2025 GMT
ফের বিয়ের কথা ভাবছেন ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। বিয়ের পর অভিনয় জগতকে বিদায় জানাতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি। টিভি নাটকের শুটিং সেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
তানিয়া বৃষ্টি বলেন, “আমি মনে করি সংসার আর ক্যারিয়ার—দুটো একসঙ্গে সামলানো খুব কঠিন। তাই যখনই বিয়ে করব, অভিনয় ছেড়ে সংসারেই মনোযোগ দিতে চাই। পরিবার আর জীবনসঙ্গীকেই তখন সবচেয়ে বেশি সময় দেব।”
আগামী পাঁচ বছর অভিনয়ে পুরোপুরি সক্রিয় থাকতে চান তানিয়া বৃষ্টি। এরপর বিয়ে করে সংসার আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চান। তবে দেশে নয়, বিদেশে সেটল হতে চান এই নায়িকা। তার ভাষায়—“ইচ্ছা আছে দেশের বাইরে সেটেল হওয়ার।”
আরো পড়ুন:
জায়েদ খানের অতিথি মোনালিসা
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
তবে বিয়ের নির্দিষ্ট কোনো সময় বা পাত্র এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ তথ্য জানিয়ে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, “ভালো একজন মানুষ পেলে আর নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত মনে করলে তবেই সিদ্ধান্ত নেব।”
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাব্বির চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন তানিয়া বৃষ্টি। তবে সেই সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র এক বছরেই বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন উঠলেও তানিয়া তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এসব নিছক গুজব।”
অভিনয়ে নিজের অবস্থান প্রসঙ্গে বলতে গেলে, ‘প্রেম প্রেম খেলা খেলা’, ‘সীমানা’, ‘বেইলি রোড’সহ একাধিক নাটকে তানিয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনজগতেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল