‎‎আগামী মাসে লাওসে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই। সে জন্য আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। কোনো পরিবর্তন নেই স্কোয়াডে। সর্বশেষ সাফজয়ী দলের ২৩ জনকেই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দলে রেখেছেন কোচ পিটার বাটলার।

আরও পড়ুনসিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা২৯ জুলাই ২০২৫

দারুণ ছন্দে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। ১১ থেকে ২১ জুলাই ঘরের মাঠে টানা ৬ জয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতেন মেয়েরা। এবার তাঁরাই এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে লাওসে যাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ আগস্ট দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁদের।

অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ স্কোয়াড: গোলরক্ষক: স্বর্ণা রানী, মিলি আক্তার, ফেরদৌসি আক্তার। ‎ডিফেন্ডার: জয়নব বিবি, আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), সুরমা জান্নাত, কানোম আক্তার, রুমা আক্তার। ‎মিডফিল্ডার: স্বপ্না রানী, কানন রানী, ঐশী খাতুন, অয়ন্ত বালা, রুপা আক্তার, বর্না খাতুন, মুনকি আক্তার, সিনহা জাহান, শান্তি মার্ডি, নাদিয়া আক্তার। ফরোয়ার্ড: পূজা দাস, উমেলা মারমা, মোসাম্মৎ সাগরিকা, তৃষ্ণা রানী, নবীরণ খাতুন।

বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দল দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস ও পূর্ব তিমুর। ৬ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস। ৮ আগস্ট পূর্ব তিমুর আর ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

‎৩৩ দলের বাছাইপর্বে আট গ্রুপের সেরা আট দল যাবে এশিয়ান কাপে। গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা তিন দলও পাবে থাইল্যান্ডের টিকিট। ‎এশিয়ান বাছাইয়ে বাংলাদেশের অতীতটা অবশ্য বেশ হতাশারই। এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে জয় মাত্র দুটিতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ