সাফজয়ী সবাইকে নিয়েই এশিয়ান পরীক্ষায় সাগরিকারা
Published: 31st, July 2025 GMT
আগামী মাসে লাওসে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই। সে জন্য আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। কোনো পরিবর্তন নেই স্কোয়াডে। সর্বশেষ সাফজয়ী দলের ২৩ জনকেই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দলে রেখেছেন কোচ পিটার বাটলার।
আরও পড়ুনসিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা২৯ জুলাই ২০২৫দারুণ ছন্দে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। ১১ থেকে ২১ জুলাই ঘরের মাঠে টানা ৬ জয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতেন মেয়েরা। এবার তাঁরাই এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে লাওসে যাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ আগস্ট দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁদের।
অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ স্কোয়াড: গোলরক্ষক: স্বর্ণা রানী, মিলি আক্তার, ফেরদৌসি আক্তার। ডিফেন্ডার: জয়নব বিবি, আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), সুরমা জান্নাত, কানোম আক্তার, রুমা আক্তার। মিডফিল্ডার: স্বপ্না রানী, কানন রানী, ঐশী খাতুন, অয়ন্ত বালা, রুপা আক্তার, বর্না খাতুন, মুনকি আক্তার, সিনহা জাহান, শান্তি মার্ডি, নাদিয়া আক্তার। ফরোয়ার্ড: পূজা দাস, উমেলা মারমা, মোসাম্মৎ সাগরিকা, তৃষ্ণা রানী, নবীরণ খাতুন।বাছাইপর্বে ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দল দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস ও পূর্ব তিমুর। ৬ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস। ৮ আগস্ট পূর্ব তিমুর আর ১০ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
৩৩ দলের বাছাইপর্বে আট গ্রুপের সেরা আট দল যাবে এশিয়ান কাপে। গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা তিন দলও পাবে থাইল্যান্ডের টিকিট। এশিয়ান বাছাইয়ে বাংলাদেশের অতীতটা অবশ্য বেশ হতাশারই। এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে জয় মাত্র দুটিতে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।