আমার আর কেউ থাকল না: মিষ্টি জান্নাত
Published: 2nd, August 2025 GMT
আবেগে কাঁপছে মিষ্টি জান্নাতের কণ্ঠ। হারিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে আপনজন— বাবা। শুধু একজন অভিভাবক নয়, বাবাই ছিলেন তার পৃথিবী। শনিবার (২ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টে নিজের ভাঙা মন আর অভিমানের কষ্টগুলো এক নিঃশ্বাসে লিখেছেন এই চিত্রনায়িকা।
মিষ্টি জান্নাত লেখেন, “আজ এতিম আমি। কেউ আর আমাকে ‘আব্বু’ বলে ডাকবে না। কেউ বলবে না, বাবু তুমি কই? আমার সব শক্তি শেষ হয়ে গেছে। বাবাকে সারাদিন-রাত দেখার ব্যবস্থা নেই। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় আমার। আমার আর কেউ থাকল না।”ৎ
জীবনের পরতে পরতে যে মানুষটা ছিলেন ছায়ার মতো, সেই বাবাকে হারিয়ে পৃথিবীটাই যেন শূন্য মনে হচ্ছে মিষ্টির কাছে।
“আমি, আব্বু আর আম্মুকে নিয়ে আমার পৃথিবী ছিল। আর এই দিনে যারা পাশে ছিলেন, তাদের কথা আজীবন মনে থাকবে। বাবা নাই— এটা একটা দুঃস্বপ্ন হতে পারে না। সব কিছুর বিনিময়ে বাবাকে যদি একবার ফিরে পেতাম!” — লেখেন তিনি।
চলচ্চিত্র অঙ্গনের সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্ত এই খবরে শোক প্রকাশ করেছেন। মিষ্টি জান্নাতকে সান্ত্বনা জানানোর পাশাপাশি তার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
গত ৩০ জুলাই একটি পোস্টে মিষ্টি জানিয়েছিলেন, তার বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মিষ্টি জান্নাতের বাবার নাম মো.
ঢাকা/রাহাত//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল