আবেগে কাঁপছে মিষ্টি জান্নাতের কণ্ঠ। হারিয়েছেন জীবনের সবচেয়ে আপনজন— বাবা। শুধু একজন অভিভাবক নয়, বাবাই ছিলেন তার পৃথিবী। শনিবার (২ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টে নিজের ভাঙা মন আর অভিমানের কষ্টগুলো এক নিঃশ্বাসে লিখেছেন এই চিত্রনায়িকা।

মিষ্টি জান্নাত লেখেন, “আজ এতিম আমি। কেউ আর আমাকে ‘আব্বু’ বলে ডাকবে না। কেউ বলবে না, বাবু তুমি কই? আমার সব শক্তি শেষ হয়ে গেছে। বাবাকে সারাদিন-রাত দেখার ব্যবস্থা নেই। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় আমার। আমার আর কেউ থাকল না।”ৎ

জীবনের পরতে পরতে যে মানুষটা ছিলেন ছায়ার মতো, সেই বাবাকে হারিয়ে পৃথিবীটাই যেন শূন্য মনে হচ্ছে মিষ্টির কাছে।

“আমি, আব্বু আর আম্মুকে নিয়ে আমার পৃথিবী ছিল। আর এই দিনে যারা পাশে ছিলেন, তাদের কথা আজীবন মনে থাকবে। বাবা নাই— এটা একটা দুঃস্বপ্ন হতে পারে না। সব কিছুর বিনিময়ে বাবাকে যদি একবার ফিরে পেতাম!” — লেখেন তিনি।

চলচ্চিত্র অঙ্গনের সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্ত এই খবরে শোক প্রকাশ করেছেন। মিষ্টি জান্নাতকে সান্ত্বনা জানানোর পাশাপাশি তার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

গত ৩০ জুলাই একটি পোস্টে মিষ্টি জানিয়েছিলেন, তার বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

প্রসঙ্গত, মিষ্টি জান্নাতের বাবার নাম মো.

মকবুল হুসাইন। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মেয়ের জীবনে প্রেরণা হয়ে ছিলেন সবসময়।

ঢাকা/রাহাত//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ