বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ১২ দিন পর রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ‘সীমিত পরিসরে’ খুলেছে রবিবার (৩ আগস্ট)।

শনিবার (২ আগস্ট) রাতে কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

শাহ বুলবুল জানান, কলেজ ক্যাম্পসে রবিবার হতাহতদের স্মরণে সভা এবং সীমিত পরিসরে ক্লাস হবে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, “রবিবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যও একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে।”

শাহ বুলবুল বলেন, “প্রথম দিনেই সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে না। শোকসভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মোনাজাত হবে।সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় হবে। আহামরি লেখাপড়া হবে না, তবে লেখাপড়ার সূচনাটা হবে।”

গত ২১ জুলাই দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী, এ ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক আহতের মধ্যে এখনও ৪১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আছে এ দুর্ঘটনায় ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়।

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ