চট্টগ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় তাঁর পাঁচ প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নুরুল আফসার, মোহাম্মদ রফিক, মো. সোলাইমান, আহাম্মদ ও ইলিয়াস। তাঁর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুর শুকুরকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। এক দিন পর ২১ আগস্ট চাতরি এলাকায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে মো.

মিজান বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এতে বলা হয়, বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে জাল দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেন শুকুরকে। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত রায় দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, খুনের মামলায় আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আসামিরা সবাই নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ

সুকুক বন্ড বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজে সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ বরাদ্দের হার বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে জারি করা এ-সংক্রান্ত সব নির্দেশনা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্টদের এই তথ্য অবহিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক

এনআরবিসি ব্যাংকের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বিমা কোম্পানি এবং কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোগুলো ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ৮০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বীমা কোম্পানি ইস্যুতব্য সুকুকের ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স, ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড প্রভৃতি ইস্যু করতে যাওয়া সুকুকের ১৫ শতাংশ হারে বরাদ্দ পাবে।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সুকুক বরাদ্দের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে সেটি হলো, তিনটি শ্রেণিতেই নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে বেশি বিড দাখিল হলে প্রত্যেক শ্রেণির বিড দাখিলকারীদের মধ্যে তাদের দাখিল করা বিডের সমানুপাতিক হারে সুকুক বরাদ্দ দেওয়া; কোনো শ্রেণিতে নির্ধারিত অনুপাতের চেয়ে কম বিড দাখিল হলে তাদের মধ্যে বিতরণের পর অবশিষ্ট সুকুক বেশি বিড দাখিলকারীদের মধ্যে (যদি থাকে) তাদের দাখিলকৃত বিডের সমানুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া। নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ঢাকা/নাজমুল/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ