দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার। দুই অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েন, ম্যাট শর্ট ও পেসার ল্যান্স মরিস চোটের কারণে ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। ওয়েন খেলতে পারবেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচও।

টি–টোয়েন্টি সিরিজে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে কাগিসো রাবাদার বল ওয়েনের হেলমেটে আঘাত করে। মাঠে কনকাশন পরীক্ষায় উতরে গিয়ে তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১৩ বলে ৮ রান করে। তবে ম্যাচের পর কনকাশনের কিছু লক্ষণ তার মধ্যে দেখা গেছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ‘কনকাশন প্রোটোকল’ অনুসারে এখন তাঁকে অন্তত ১২ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। গত জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত এই অলরাউন্ডার ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন। আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সেটি আর হচ্ছে না।

পিঠের চোট আছে মরিসের।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।

আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।

যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।

সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।

বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।

এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ

সম্পর্কিত নিবন্ধ