নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত শিশুর নাম ইমন উদ্দিন রাইয়ান, তার বয়স মাত্র এক মাস। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মো. হাসান ও মা মোসা. সালমা বেগমসহ একই পরিবারের আটজন দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

নড়াইল কারাগারে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘‘মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে শিশুটিকে মিজমিজি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’’

এর আগে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী সিআইখোলা এলাকার রনি সিটি সংলগ্ন জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘বড় ভাই পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আমি অন্য যায়গায় থাকি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জেনেছি, গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হয়ে ফিরলে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’’

এর আগে, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লাগতে পারে ধারণা করেছিল। পুলিশের ধারণা ছিল, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।

আরো পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে আগুনে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৯

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন স দ ধ রগঞ জ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ