মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ এবং শিবপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। নদীভাঙন থেকে বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও ও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিবপুর মাছ ঘাট, চার ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি এবং ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ। 

নদীভাঙন থেকে রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে তারা পাউবো কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভোলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

জিয়া উদ্দীন আরিফ বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে আজ থেকেই দ্রুত গতিতে জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।

তিনি জানিয়েছেন, মেঘনা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ৪ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ ও ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৭৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ