জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে বড় অগ্রগতি হিসেবে বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান ভবন নির্মাণের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

আরো পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠককে ‘গুজব’ বললেন আসিফ নজরুল

জবি উপাচার্য অধ্যাপক মো.

রেজাউল করিম সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম-এর কাছে নির্মাণসাইটের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে এই দুইটি ভবন নির্মাণ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর পেছনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা রয়েছে। সেনাবাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। যদিও এটি চাহিদা পূরণের একমাত্র সমাধান নয়। তবে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণসহ আরো উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন আশা প্রকাশ করে বলেন, “এই দুইটি হল নির্মাণ শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যার আংশিক সমাধান হলেও তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় কাজটি যথাযথভাবে ও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে আমি আশাবাদী।”

প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম বলেন, “আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে এই প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সেনাবাহিনীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ