এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনামের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চাটমোহরে মাদ্রাসার সুপারকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবিতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের অবাধ বিচরণ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু খান মো.
অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির ০৩/২০২৫ নং সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সভায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে। বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।
এর আগে, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের গত ২ সেপ্টেম্বর খান মো. মীজানুল ইসলামের চিকিৎসা খরচ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। সেই পোস্টে তিনি হাসপাতালের বিল পরিশোধের নথিপত্রও জুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘প্রশ্ন হলো দুদকের মতো একটি সংস্থার পরিচালক, যার অধীন বিভাগ অনুসন্ধান করছে এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে কি তা কোনোভাবে নৈতিক হতে পারে? আর যদি তা না হয়, তাহলে দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারাই যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দোসর হয়ে যায়।
পোস্টটি দেওয়ার পর থেকে সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদক খান মো. মীজানুল ইসলামকে গত রবিবার দুদকের এনআইএস এবং উন্নয়ন সহযোগী ও সমন্বয় (দেশীয়) বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর একদিন পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত ম জ ন ল ইসল ম বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল