বান্ধবীর ব্যালটে আগে থেকে ‘ক্রস’ দেওয়ার অভিযোগ রুপাইয়ার, শিবির
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে টিএসসি কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়া কক্ষে আগে থেকেই ‘ক্রস’ চিহ্ন দেওয়া একটি ব্যালট পেপার পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদপ্রার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা। তবে এ ব্যাপারে শিবির সমর্থিত প্যানেল বলছে, এটি নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা একটি ষড়যন্ত্র।
আরো পড়ুন:
ফলাফল না দেওয়া পর্যন্ত রাবির আরবি বিভাগে শাটডাউন ঘোষণা
কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
রুপাইয়া মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, তিনি ও তার এক বান্ধবী একসঙ্গে ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রের এক নম্বর টেবিল থেকে বান্ধবীকে যে ব্যালট দেওয়া হয়, সেটিতে আগেই ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদের নামের পাশে।
বিষয়টি নিয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পোলিং কর্মকর্তাদের অবহিত করলে কর্মকর্তারা জানান, এটি ওই শিক্ষার্থীর ভুলও হতে পারে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং কর্মকর্তা রুমানা পারভীন এ্যানী বলেন, “ওই শিক্ষার্থী ব্যালট নিয়ে বুথে প্রবেশ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বেরিয়ে এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর আমরা সব ব্যালট পেপার পরীক্ষা করেছি, কিন্তু কোথাও কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে অভিযোগকারীকে একটি নতুন ব্যালট দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শিক্ষার্থীর ভুলও হতে পারে।”
তিনি আরো জানান, সকালে ব্যালট বাক্স খোলা ও সিলগালা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সামনে ব্যালট বিতরণ হওয়ায় কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে, শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম অভিযোগটিকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে বলেন, “একটা পক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করছে। একুশে হলে ছাত্রদলের পক্ষে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যালট পাওয়ার খবর শোনা গেছে, এখন টিএসসিতেও একই অভিযোগ উঠছে। আমরা চাই, এ ধরনের কাজে যেসব কর্মকর্তা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় টিএসসি কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগকারী ব্যালট হাতে নিয়েই অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান সম্ভব হত। কিন্তু বুথে প্রবেশ করার পর ফিরে এসে অভিযোগ করার সুযোগ নেই। তারপরও তাকে নতুন ব্যালট দেওয়া হয়েছে। ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হতে পারে।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করেন যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় রিপোর্ট করার সময় ৩টা ১০ মিনিটে অনিয়মের অভিযোগ জানাতে এই মুহূর্তে সিনেট ভবনের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান।
নির্বাচন চলাকালে এ ধরনের ঘটনা ভোটের পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যেকোনো অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হবে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করা হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত সমর থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল