দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হলো। ভোটগ্রহণ শেষে বিলম্বে গণনা শুরু করার পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গেলেও ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন। ভোট গণনায় কেন এই কচ্ছপগতি, কী হচ্ছে আসলে- এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশের মানুুষের মধ্যে।

ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

জাকসুর নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ

জাকসুর ভোট গণনা নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি

জাকসু নির্বাচনের তিন দিন আগে (৮ সেপ্টেম্বর) জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো.

মনিরুজ্জামান ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করার তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‍এবারের নির্বাচন কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। সে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং বিভিন্ন অংশীজনের সাথে পরামর্শক্রমে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

তিনি আরো বলেন, ব্যালট পেপারটা ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হবে এবং সেটা মেশিন রিডেবল হবে। এমনকি ভোটের ফলাফল মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হবে।

তবে নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ভোটগ্রহণ ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হলেও ভোট গণনার পূর্বে জানানো হয় ডিজিটাল নয়, ম্যানুয়াল (হাতে গোণা) পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হবে।

জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিন (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতারা, বাগছাসের জাবি শাখার সদস্য সচিব ও নির্বাচনে জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সংগঠক ও নির্বাচনে এজিএস (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়াসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে তারা ভোট গণনা কার্যক্রম পরিবর্তন করে ম্যানুয়ালি গণনার দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে গোনা পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা প্রথম দিকে ব্যালট পেপার ওএমআর মেশিনে গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মেশিনে ভোট গণনার বিষয়ে একটি ছাত্র সংগঠন (ছাত্রদল) অভিযোগ দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা।

নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে এসব ব্যালট ও ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিএনপি-সমর্থিত মালিকের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এই প্রমাণ দেখিয়েছেন জাকসুর শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রমাণ দেখান তিনি।

জামায়াতপন্থি প্রতিষ্ঠান থেকে ওএমআর নেওয়াকে মিথ্যা দাবি বর্ণনা করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওএমআর যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে সেটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে বাতিলের চেষ্টা করেছে ছাত্রদল ও বাগছাস। জামায়াতপন্থি যদি কোনো কিছু থাকে, আপনারা দেখতে চাইবেন সে যন্ত্রটি ঠিক আছে কি না; সেটা আপনাদের কনসার্ন থাকা উচিত ছিল, কিন্তু আপনারা কনসার্ন সেটি জামায়াতপন্থি কি না। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেটি জামায়াতপন্থি নয়, বরং বিএনপিপন্থি প্রতিষ্ঠান।

এ সময় মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের যে ব্যালট তা কেনা হয়েছে জামায়াত-সমর্থিত মালিকের প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে এইচআর সফট বিডি নামে যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে, সেটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হলে রকমানুর জামান রনি। যার ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়া ছবি ও বিএনপির সমর্থনে একাধিক পোস্ট রয়েছে।

ওএমআরে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে শিবিরের ওই নেতা বলেন, তার গ্লানি এখনো আমাদের টানতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাস্তবিকভাবে কোনোভাবেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা করা সম্ভব নয়। ওএমআরের মতো ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

এদিকে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। অনেকেই হাস্যরসাত্মক উপায়েও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।

এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেছেন, “কিছুদিন আগে যারা শিক্ষাকার্যক্রমে অটোমেশনের দাবিতে আন্দোলন করলেন, আজ তারাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে চাচ্ছেন।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “মেশিনেরও আবার দল থাকে আগে জানতাম না। যদি আপনাদের সন্দেহ হয়, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, যদি মেশিনে ভুল আসে, তখন ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা যেত। এভাবে পুরো জাহাঙ্গীরনগরকে ভোগান্তিতে ফেলার হেতু কি?”

ঢাকা/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওএমআর ম শ ন জ ম য় তপন থ স প ট ম বর ভ ট গণন র সমর থ ত ছ ত রদল গ রহণ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রশিবিরের ভরসা ওএমআর মেশিনে, ছাত্রদল চায় হাতে ভোট গণনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার বিকেলে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রধান কমিশনারের কাছে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেন ছাত্রশিবির মনোনীত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। এর আগে দুপুরে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল হাতে ভোট গণনাসহ ছয়টি দাবি জানিয়েছিল।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে তিন দিন সময় লেগেছে, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন থেকে চার গুণ বেশি। এখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গণনা করলে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।মোস্তাকুর রহমান, ভিপি পদপ্রার্থী, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল

ছাত্রশিবিরের অন্য দাবিগুলো হলো পোলিং এজেন্টদের প্রবেশাধিকার ও দায়িত্ব পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা; সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আইডি কার্ডের ব্যবস্থা রাখা এবং কেবল প্রশাসন অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া; কোনো প্রার্থী প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে আপত্তি করলে হাতে ভোট গণনার ব্যবস্থা রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা; ভোটের দিন ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা এবং নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

ছাত্রদলের হাতে ভোট গণনার দাবির বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) বলেন, ‘আমরা চাই ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন একটি উৎসবমুখর ও স্বচ্ছ পরিবেশে হোক। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে তিন দিন সময় লেগেছে, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন থেকে চার গুণ বেশি। এখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গণনা করলে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ জন্য দিনের ফলাফল দিনেই প্রকাশ করা জরুরি। আমরা ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুনহাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত৪ ঘণ্টা আগে

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ আসেনি। কিন্তু আমরা অন্য প্যানেলের বিরুদ্ধে একাধিকবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের শিক্ষক নেতাদের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রদলের মাদার সংগঠনের শিক্ষকেরা এখানে এসে যদি দাবিদাওয়া পেশ করেন, সেটাকে আমি পেশাদার মনে করছি না। ছাত্রদলের দাবি ছাত্রদলের নিজেদেরই পেশ করা উচিত।’

ক্যাম্পাসে চলমান পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি। তিনি বলেন, রাকসু নির্বাচনের আগমুহূর্তে একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা অনুচিত। তাঁরা চান, সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

এর আগে দুপুরে হাতে ভোট গণনাসহ ছয়টি দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেন ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থীরা। তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; ভুয়া ও জাল ভোট শনাক্তে বাধ্যতামূলক ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে; ভোট গ্রহণের সময় ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বৈধ কার্ড বা পাসধারী ব্যতীত কাউকে ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া যাবে না, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করতে হবে; লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখতে নির্বাচনে অবৈধ কালোটাকার প্রভাব রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সব প্রার্থীর জন্য একই আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়টি নজরদারি করতে হবে।

প্রচারণায় বাধা বৃষ্টি

প্রচারণার তৃতীয় দিনে আজ প্রার্থীদের প্রচারণা তেমন দেখা যায়নি। সকালের দিকে কিছুটা রোদ উঠলেও দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি সন্ধ্যা পর্যন্ত হয়েছে। এতে প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতে পারেননি। তবে বৃষ্টির ফাঁকে কয়েকজন প্রার্থীকে প্রচারণায় দেখা গেছে।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে দেখা যায় কেন্দ্রীয় সংসদে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী কাজী শফিউল কালামকে। তিনি ইউকেলেলে বাজাচ্ছিলেন আর ভোট চাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন প্রচারপত্র বিতরণ করছিলেন। শফিউল বলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছেন। তাই এভাবে প্রচার করছেন। কোনো জায়গায় গানের আসরও হয়ে যাচ্ছে।

‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’-এর ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বৃষ্টির ফাঁকে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ এলাকায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে খুব বেশি শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রশিবিরের ভরসা ওএমআর মেশিনে, ছাত্রদল চায় হাতে ভোট গণনা
  • রাকসু নির্বাচন নিয়ে ৭ দাবি ছাত্রশিবিরের