বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগে ডিন নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি
Published: 22nd, September 2025 GMT
বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস’–এর ডিন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন এই বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে। আবেদন করতে প্রয়োজন হবে ১২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা।
পদের নাম ও বিবরণ* ডিন, স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: লাইফ সায়েন্সেস বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ১২ বছরের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ বছর অ্যাসোসিয়েট ডিন, ডিন বা সমমানের পদে থাকতে হবে। একাডেমিক, গবেষণা, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মজবুত নেটওয়ার্ক তৈরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি থেকে মূল্য সৃষ্টির কৌশলগত ধারণা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনপাঁচ বছর ধরে কেন আটকে আছে মাউশির ৬১০ পদে নিয়োগ৭ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব ও কর্তব্য: স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথকে কেন্দ্র করে। দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প খাত ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়ে তোলা।
আবেদনপ্রক্রিয়াপ্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে-
১.
২. জীবনবৃত্তান্ত
৩. তিনজন রেফারেন্সের তথ্য
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২২ ঘণ্টা আগেআবেদন পাঠাতে হবে ([email protected]) ই–মেইলে অথবা ক্যারিয়ার পোর্টালের মাধ্যমে: career.bracu.ac.bd।
বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে: Dean, School of Life Sciences
আবেদনের শেষ তারিখ৭ অক্টোবর ২০২৫
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা। তিনি জ্ঞান, কৌশলগত যুদ্ধ, সভ্যতা, আইন ও ন্যায়বিচার, শক্তি, শিল্প ও কারুশিল্পের দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এথেনা শুধুমাত্র যুদ্ধের দেবী ছিলেন না, তিনি যুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত দিকটি উপস্থাপন করতেন। তিনি সাধারণত বীরদের অনুপ্রাণিত করতেন এবং ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে সহায়তা করতেন।তিনি বয়ন, সেলাই এবং অন্যান্য কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
এথেনা গ্রিসের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে এথেন্স শহরের রক্ষাকর্ত্রী ও পৃষ্ঠপোষক দেবী হিসেবে পূজিত হতেন। তিনি পার্সিয়াস, হেরাক্লিস, ওডিসিউস এবং জেসনের মতো বিখ্যাত গ্রিক বীরদেরকে তাদের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন।তিনি একজন কুমারী দেবী ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
আরো পড়ুন:
পশ্চিমা সভ্যতার ‘দোলনা’ বলা হয় যে শহরকে
শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়
জন্ম ও পৌরাণিক কাহিনী
এথেনার জন্মকাহিনী বেশ চমকপ্রদ। প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিনি দেবরাজ জিউস এবং জ্ঞান ও কৌশলের টাইটানিস মেটিসের কন্যা। জিউস ভবিষ্যদ্বাণী জানতে পারেন যে, মেটিসের সন্তান তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তাই তিনি মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পর জিউসের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয় এবং তিনি হেফেস্টাসকে (অগ্নি ও কর্মকার শিল্পের দেবতা) তার মাথা কুড়াল দিয়ে কেটে দিতে বলেন। মাথা কাটার পর, এথেনা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বর্ম পরিহিত অবস্থায় জিউসের মাথা থেকে বেরিয়ে আসেন।
এথেন্স শহরের নামকরণ এথেনার নামানুসারে করা হয়েছিল। শহরটির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এথেনা এবং সমুদ্রের দেবতা পসেইডনের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পসেইডন তার ত্রিশূল দিয়ে মাটিতে আঘাত করে একটি নোনা জলের ঝর্ণা তৈরি করেন। অন্যদিকে, এথেনা একটি জলপাই গাছ তৈরি করেন, যা খাদ্য, তেল, কাঠ এবং ছায়া প্রদান করত। শহরের লোকেরা এথেনার উপহারকে বেশি উপযোগী মনে করে এবং এথেনাকে তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বেছে নেয়। এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত বিখ্যাত পার্থেনন মন্দিরটি তার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল।
এথেনার প্রধান প্রতীকগুলির মধ্যে রয়েছে পেঁচা। যা জ্ঞানের প্রতীক। জলপাই গাছ হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।ঢাল তার যোদ্ধার পরিচয় বহন করে।
ঢাকা/লিপি