গফরগাঁওয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী নুরুল হুদা
Published: 25th, September 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী নুরুল হুদা। উপজেলার ধামাইল গ্রামের বাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সকাল ১০টায় উপজেলার ধামাইল গ্রামে নুরুল হুদার গার্ড অব অনার প্রদান শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনির নেতৃত্বে গফরগাঁও থানা পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দী ও গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেলোয়ার হোসেন গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিস থেকে গার্ড অব অনার দেন। এরপর স্থানীয় লোকজনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা জানাজায় অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
নুরুল হুদা উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামের আবদুল মনসুর ও শিরিনা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে। বড় ছেলে শামছুল হুদা তিন বছর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় নুরুল হুদা ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বুধবার রাত ১২টার দিকে তাঁর মরদেহ বহনকারী গাড়ি পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ভিড় করেন সেখানে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিজ বাড়ির সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নুরুল হুদাকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
একাদশ জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ
একাদশ জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৫–এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এবার সারা দেশ থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৮৫০ ও রচনা প্রতিযোগিতায় ৩০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনার প্রতিটি বিষয়ে তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারীকে ‘ত্বকী পদক’ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে বিশেষ ক্রেস্ট, বই ও সনদ এবং সেরা ১০ জনকে ক্রেস্ট, বই ও সনদ দেওয়া হবে।
উভয় বিষয়ের প্রতিটি বিভাগের সেরা ১০ জনের ছবি ও লেখা নিয়ে একটি সুশোভিত স্মারক ‘ত্বকী’ প্রকাশিত হবে। প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিচারক ছিলেন রচনায় আনু মুহাম্মদ ও রফিউর রাব্বি। চিত্রাঙ্কনে রফিকুন নবী, জাহিদ মুস্তাফা ও অশোক কর্মকার।
প্রতিযোগিতার ‘ক’ বিভাগে ‘স্বপ্নের স্বদেশ’ বিষয়ে রচনায় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে নুসাইবা জাহান জ্যোতি (নারায়ণগঞ্জ), দ্বিতীয় আবু ইমরান (ফেনী) ও তৃতীয় রক্তিম ঘোষ (নারায়ণগঞ্জ)। সেরা ১০–এ আছে নারায়ণগঞ্জের আজমাইন আন্ত, তাশফিয়া জারিন হায়দার, নাফিসা আনজুম, জুনাইরা জারা আরিবা, সুরাইয়া জাহান রুশান, বরিশালের প্রাপ্তি লতা কুণ্ডু ও ময়মনসিংহের শেখ রাইছা।
‘খ’ বিভাগে ‘জুলাই ছাত্র গণ–অভ্যুত্থান’ শিরোনামে রচনায় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে মো. তাওহীদুল ইসলাম (ঢাকা), দ্বিতীয় আবদুল্লাহ আল ওয়াহিব (বগুড়া) ও তৃতীয় মুহিব ই যাহরা ফিজা (ঢাকা)। সেরা ১০–এ আছে বগুড়ার মো. সামিন ইয়াসির, দিশা বসাক, নাফিম হায়াত, রংপুরের আরণ্যক পাল প্রাচুর্য, ঢাকার জায়ান দেওয়ান, নারায়ণগঞ্জের অথৈ বিশ্বাস ও ঐশি সিংহ।
‘গ’ বিভাগে ‘ত্বকীকে নিয়ে রচনা’য় প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে দেবাশ্রিতা পাল, দ্বিতীয় আমানুর রহমান (নারায়ণগঞ্জ) ও তৃতীয় ফারবিন ফাইজা (ঝিনাইদহ)। সেরা ১০–এ আছে মো. নাজমুল হাসান খান (জামালপুর), নাহিমা আক্তার নিপা (ঢাকা), সাদিয়া আফরিন (ফেনী), নির্ভিক পাল চৌধুরী (যশোর), রামিছা আক্তার মমি (ময়মনসিংহ), নারায়ণগঞ্জের মাহমুদুর রহমান ও ফারিনা সাঈদ এশা।
চিত্রাঙ্কনের ‘ক’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে সফ্ফান সাদ মাহিম (ঢাকা), দ্বিতীয় ছড়া ইসলাম (ঢাকা) ও তৃতীয় প্রিয়ন্তী নন্দী (বগুড়া)। সেরা ১০–এ আছে ঢাকার সাফওয়ান আহনাফ, আসফিয়া আয়রাত আসমানী, মুরতাহা ইকবাল বুশরা, সান্নিধ্য মজুমদার ও জয়িতা রহমান এবং নারায়ণগঞ্জের অনুভব ধর ও শৌনক সাহা।
‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে সৌভিক সাহা (নারায়ণগঞ্জ), দ্বিতীয় জান্নাতুল ওয়ারিশা (ঢাকা) ও তৃতীয় শাহরিয়ার রহমান হাবিব (নারায়ণগঞ্জ)। সেরা ১০–এ আছে ঢাকার তাসরিফ রহমান পরম, ফাতেমাতুজ জাহারা, অনিরুদ্ধ ধর, বগুড়ার প্রত্যাশা সরকার পিহু, নুবাইরা চৌধুরী অহনা, নারায়ণগঞ্জের মনয় পরশ সরকার ও আইশা তাজরিয়ান ইউশরা।
‘গ’ বিভাগে প্রথম হয়ে ‘ত্বকী পদক’ পেয়েছে হামীম উজ জামান (বগুড়া), দ্বিতীয় মৌমিতা ভৌমিক (বগুড়া) ও তৃতীয় ঈশান সাহা (বগুড়া)। সেরা ১০–এ আছে বগুড়ার জয়পাল, হুমায়রা জান্নাত নিহা, আতকিয়া আনজুম তাশা ও প্রত্যাশা সাহা দিঘা, রংপুরের আরণ্যক পাল প্রাচুর্য, প্রত্যয় পাল রাজ ও উৎস সাহা (নারায়ণগঞ্জ)।