সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিচ্ছে ভক্তরা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় পল্টন বদির স্কুলের আয়োজিত পূজামণ্ডপের বিসর্জনের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গার ওয়াইজ ঘাট দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়।
আরো পড়ুন:
অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় হোক: হাওলাদার
কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, নিরাপত্তা জোরদার
সুমন রায় নামে এক ভক্ত রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “যথেষ্ট নিরাপত্তার সাথে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুব ভালো।”
প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর, নৌ-পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দলের সদস্য, সাদা পোশাকেসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুর দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭)কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় মহানগরের মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গোলাম কিবরিয়া মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দুর্বৃত্তদের মাথায় হেলমেট ও মুখোশ ছিল। একাধিক গুলি লেগে কিবরিয়া লুটিয়ে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে শেরে বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আজ সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাম কিবরিয়াকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কিবরিয়াকে গুলি করার ঘটনায় একজন আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাস্তার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। তাঁর গায়ে ৯টি গুলি লেগেছে। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১-তে ফলপট্টি সংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে।