ঢাকার সাতটি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষককে হেনস্তার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীরাও সংহতি জানান। তাঁরা কলেজগুলোর স্বতন্ত্র বজায় রাখার দাবিতে মিছিলও করেছেন।

অন্যদিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনকারী বেশ কিছুসংখ্যক ছাত্র ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মান) এক ছাত্রকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।

এদিকে শিক্ষক হেনস্তা ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে সরকারি কলেজ, সরকারি মাদ্রাসা ও অন্যান্য অফিসে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা (শিক্ষক)। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কোনো ক্লাস হয়নি। ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকেরা বিভাগ ছেড়ে কলেজের শিক্ষক লাউঞ্জে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া কলেজের শহীদ মিনারের সামনেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেনও অংশ নেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজকের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছে।

ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে একপর্যায়ে ইতিহাস বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপককে হেনস্তা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একজন ছাত্রকে মারধর এবং কলেজের শিক্ষক লাউঞ্জ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আবার আরেক পক্ষের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মানের) এক শিক্ষার্থীর ওপর হাত তোলা হয়েছে এবং এক ছাত্রের পা ভেঙে যায়।

এ রকম পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্ররা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে জড়ো হয়ে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যানজট ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর রোড়সহ আশপাশের এলাকায়।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝালে তাঁরা ব্লকেড কর্মসূচি তুলে মিছিল নিয়ে নিউমার্কেটের দিকে চলে যান। এরপর ওই এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রক কল জ র ম রধর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খেলোয়াড়দের প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন পিয়া

মডেলিং থেকে অভিনয়, সঞ্চালনা—সব জায়গাতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন পিয়া জান্নাতুল। ক্রিকেট মাঠে তার নজরকাড়া সঞ্চালনা ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। যদিও এখন আর ক্রিকেট মাঠে তাকে দেখা যায় না। তবে পেশাগত কাজে মাঠে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত এই অভিনেত্রী। 

কয়েক দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পিয়া জান্নাতুল। এ আলাপচারিতায় পেশাগত আলাপের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আপনি কোন কোন পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন? এ প্রশ্ন শুনে দ্বিধায় পড়ে যান পিয়া। এরপর সঞ্চালক বলেন, “আমি কয়েকটি অপশন দিচ্ছি, আপনি শুধু ‘ইয়েস’ অথবা ‘নো’ বলবেন। এক. খেলোয়াড় মানে ক্রিকেট?”

এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “হ্যাঁ। বাংলাদেশের সব মেয়ে পেয়েছে। আমি শিওর। বেশিরভাগ।” বিস্ময় প্রকাশ করে সঞ্চালক বলেন, “বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও প্রপোজ করেন! এ কথা শুনেই পিয়া জান্নাতুল বলেন, “ইয়াং ছেলে, মেয়ে দেখলে, সিঙ্গেল থাকলে প্রপোজ করতেই পারে। এটা স্বাভাবিক। বিদেশি খেলোয়াড়রাও করেন।” তবে কোন খেলোয়াড় পিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই অভিনেত্রী। 

ছোটবেলায় এমন কোনো নায়ক ছিল, যাকে খুব পছন্দ করতেন, বিয়েও করতে চাইতেন? এ প্রশ্নের জবাবে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “সালমান শাহ। আমি ফারুককে বলেছি, ‘তোমার সঙ্গে যদি আমার প্রেমটেম না থাকত, তোমাকে যদি বিয়ে না করতাম, আর সালমান শাহ যদি সিঙ্গেল থাকতেন তবে নির্ঘাত আমি প্রস্তাব দিতাম।”

আপনার জীবনে কতবার প্রেম এসেছে? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “প্রেম জীবনে বহুবার এসেছে।” দশবার বা বিশবার? পাল্টা এ প্রশ্নের উত্তরে পিয়া জান্নাতুল বলেন, “না, সিরিয়াস প্রেম জীবনে দুইবার করেছি।” যদিও দুই প্রেমিকের নাম-পরিচয় জানাননি পিয়া। 

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফারুক হাসান সামীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পিয়া। ৬ বছর প্রেম করে ২০১৪ সালের ১৫ জুন ফারুকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এই দম্পতির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

পিয়া ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন ব্যারিস্টার হওয়ার। তাই পড়াশোনা করেন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এই অভিনেত্রী।  

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে। তিনি ফ্যাশন মডেলিংয়ের পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। 

২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পিয়ার আবির্ভাব ঘটে। এরপর ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘স্টোরি অব সামারা’, ‘প্রবাসী প্রেম’, ‘রোমান্স ইন আমেরিকা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। 

চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করায় তার তারকাখ্যাতি আরো বাড়িয়ে দেয়। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে এক ফ্রেমে মাহি!
  • সায়েন্স ল্যাবের ব্লকেড কর্মসূচি তুলে নিলো ছাত্ররা
  • বাসে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, চালক আটক
  • রেলস্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে ভিডিও করছেন পড়শী, এরপর...
  • চাকরি-এনসিপির পদ হারিয়ে মুনতাসির কেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাইকে দুষছেন
  • রাফার পাশে রাহুলের স্বপ্নপূরণ
  • জিসান হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দিলেন ৩ আসামি
  • ছেলে কেক খাওয়ার বায়না ধরত, বানানো শিখে মা এখন উদ্যোক্তা
  • খেলোয়াড়দের প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন পিয়া