ভ্রান্ত তথ্য নির্বাচনের আগে বড় চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 22nd, October 2025 GMT
ভুয়া তথ্যের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “ভ্রান্ত তথ্য আসন্ন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।”
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে’
বাকৃবিতে ১০ হাজার ডিম বিতরণ
এ সময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার কর্মকালীন বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
ড.
বৈঠকে জার্মান রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরো বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।”
রাষ্ট্রদূত সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে বসে আলাপ করতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক।”
তিনি বলেন, “এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে।”
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জার্মানিতে পড়াশোনার আগ্রহ বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে স্বাগত জানান।
এছাড়া তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।”
অধ্যাপক ইউনূস তরুণ প্রজন্মের শক্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তরুণরা এখন সহজেই মত প্রকাশ করতে পারে, একে অপরের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং অন্যায় চিহ্নিত করতে পারে।” খবর বাসসের।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ম হ ম মদ ইউন স ন র আগ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারকে কেয়ারটেকার মোডে যাওয়া উচিত: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের এখনই কেয়ারটেকার মোডে চলে যাওয়া উচিত। যারা বিতর্কিত, যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সরকারি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’’
বুধবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতা রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে: আইন উপদেষ্টা
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করব
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘১৪-১৫ মাস ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ চলছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব না থাকায় রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা হারিয়ে গেছে। প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়— সব জায়গায় এখন জবাবদিহিতার ঘাটতি স্পষ্ট। এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ সংকেত। নির্বাচিত সরকার না থাকলে কারো কাছে জবাবদিহির প্রশ্নই আসে না। সরকার উপরে, জনগণ নিচে মাঝখানে কোনো সেতু নেই। এই সেতুই তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এখন সেই সেতু অনুপস্থিত।’’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সেই স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে কারো হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সম্পর্ক হবে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে। কিন্তু কোনো দেশের নির্দেশে নয়। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল বাংলাদেশ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করি না। আমাদের একটাই দাবি, যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে, জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে।’’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলের নেতারা।
ঢাকা/রায়হান/বকুল