ফরিদপুরে জুয়েলারির দোকানে ডাকাতি, ২ নৈশপ্রহরী আহত
Published: 23rd, October 2025 GMT
ফরিদপুর শহরতলীর বাইতুল আমান বাজারে অবস্থিত মেঘলা জুয়েলার্সে ডাকাতি হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঘটনাটি ঘটে। এসময় ডাকাতদের হামলায় বাজারের দুই নৈশপ্রহরী আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে।
আরো পড়ুন:
সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে বাইতুল আমান বাজার পাহারা দিচ্ছিলেন নৈশপ্রহরী ফইজুদ্দিন। মেঘলা জুয়েলার্সের সামনে গেলে ডাকাতরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ফইজুদ্দিন প্রাণ বাঁচাতে বাইতুল আমান জিরো পয়েন্টের দিকে দৌঁড়ে গেলে সেখানে উপস্থিত অপর নৈশপ্রহরী রহিমকেও ডাকাতরা জখম করে। বর্তমানে তারা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিসিটিভি ফুটেজে ডাকাতির ঘটনার স্পষ্ট চিত্র দেখা গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, স্বর্ণের দোকান ডাকাতি শেষে ডাকাত দল লুটের মাল নিয়ে পালাতে একটি রিকশা এবং একটি ট্রাক ব্যবহার করে। রিকশায় তিনজন ডাকাতকে বসে থাকতে দেখা যায়। ট্রাকে লুট করা আলমারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং একজন লোক আলমারির পাশে বসে ছিলেন। ফুটেজের ভিডিও দেখে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জন অংশ নিয়েছিল।
মেঘলা জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার রায় জানান, ভোর ৪টার দিকে দোকানে ডাকাতি এবং বাজারের দুই নৈশপ্রহরী আহত হয়েছেন বলে জানতে পারেন। তিনি দ্রুত এসে দেখেন, তার দোকানের তালাগুলো কাটা এবং আলমারি উধাও। তিনি সিন্দুক ও আলমারিতে স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলেন। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
দিলীপ কুমার রায় জানান, ঠিক কী পরিমাণ স্বর্ণ লুট হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
এদিকে, মেঘলা জুয়েলার্সে লুট হওয়া আলমারিটি ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কের কানাইপুর এলাকার রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আলমারিটি উদ্ধার করে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল আহত আলম র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব
ঘরের মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাকিব ঘোষণা দিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও কোনো ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি।
২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। দেশে ফিরে আবার দেশের বাইরে যাওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের থেকে সাড়া পাননি। ‘হুমকি’ থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকিও নেননি তারা।
কানপুরে সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যাওয়ার এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ফেরার কথা বলেছিলেন। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডে ছাড়ার ইচ্ছা ছিল তার। সেটাও হয়নি। আর টেস্টেও সুযোগ হয়নি। ফলে মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার বাসনা পূরণ হয়নি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের।
তবে এখনও সেই ইচ্ছাটা পুষে রেখেছেন তিনি। । রোববার প্রকাশিত ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের ইচ্ছা কথা বলেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, “আনুষ্ঠানিকভাবে সব সংস্করণ থেকে অবসর নেইনি আমি। এই প্রথম এটি প্রকাশ করছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেওয়া।”
“আমি বলতে চাই, একটি সিরিজে সব সংস্করণ থেকে অবসর নিতে পারি। এটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করে ওয়ানডে ও টেস্ট, অথবা টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-এভাবে হতে পারে। এর যেভাবেই হোক, আমি খুশি; কিন্তু আমি একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নিতে চাই। এটাই আমি চাই।” - যোগ করেন তিনি।
২০২৪ সালে ভারত সফরের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে সাকিব। তবে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলে বেড়াচ্ছেন সাকিব। এখন যেমন খেলছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি)। দেশের হয়ে একটি সিরিজ খেলার অপেক্ষাতেই নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন সাকিব, এমনটাই বুঝিয়েছেন, ‘‘আমি আশাবাদী। এজন্যই আমি (টি-টোয়েন্টি লিগ) খেলছি। আমার মনে হয় এটা হবে। আমার মনে হয়, যখন একজন খেলোয়াড় কিছু বলে, তার কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। তারা সাধারণত হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করে না। আমি ভালো খেলি কি-না, তা বিবেচ্য নয়। এরপর, আমি একটা খারাপ সিরিজও খেলতে পারি।”
ঘরের মাঠে ভক্ত-সমর্থকদের সামনে বিদায় নিতে চান সাকিব,“আমার মনে হয় এটাই যথেষ্ট। এটা ভক্তদের বিদায় জানানোর একটা ভালো উপায় যে, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে, ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে তাদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়া।”
ঢাকা/ইয়াসিন