ফরিদপুর শহরতলীর বাইতুল আমান বাজারে অবস্থিত মেঘলা জুয়েলার্সে ডাকাতি হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঘটনাটি ঘটে। এসময় ডাকাতদের হামলায় বাজারের দুই নৈশপ্রহরী আহত হন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে।

আরো পড়ুন:

সাভারে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে বাইতুল আমান বাজার পাহারা দিচ্ছিলেন নৈশপ্রহরী ফইজুদ্দিন। মেঘলা জুয়েলার্সের সামনে গেলে ডাকাতরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ফইজুদ্দিন প্রাণ বাঁচাতে বাইতুল আমান জিরো পয়েন্টের দিকে দৌঁড়ে গেলে সেখানে উপস্থিত অপর নৈশপ্রহরী রহিমকেও ডাকাতরা জখম করে। বর্তমানে তারা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সিসিটিভি ফুটেজে ডাকাতির ঘটনার স্পষ্ট চিত্র দেখা গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, স্বর্ণের দোকান ডাকাতি শেষে ডাকাত দল লুটের মাল নিয়ে পালাতে একটি রিকশা এবং একটি ট্রাক ব্যবহার করে। রিকশায় তিনজন ডাকাতকে বসে থাকতে দেখা যায়। ট্রাকে লুট করা আলমারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং একজন লোক আলমারির পাশে বসে ছিলেন। ফুটেজের ভিডিও দেখে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জন অংশ নিয়েছিল।

মেঘলা জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার রায় জানান, ভোর ৪টার দিকে দোকানে ডাকাতি এবং বাজারের দুই নৈশপ্রহরী আহত হয়েছেন বলে জানতে পারেন। তিনি দ্রুত এসে দেখেন, তার দোকানের তালাগুলো কাটা এবং আলমারি উধাও। তিনি সিন্দুক ও আলমারিতে স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলেন। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। 

দিলীপ কুমার রায় জানান, ঠিক কী পরিমাণ স্বর্ণ লুট হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

এদিকে, মেঘলা জুয়েলার্সে লুট হওয়া আলমারিটি ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কের কানাইপুর এলাকার রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আলমারিটি উদ্ধার করে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে এবং তাদের কাজ চলমান। দ্রুতই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হবে।

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল আহত আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

পার্টিকেল বোর্ডের ব্যবসায় এল প্রাণ-আরএফএল

পার্টিকেল বোর্ড ব্যবসায় এল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল। নতুন ব্র্যান্ড ‘প্লাইম্যাক্স’ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশসেরা ব্র্যান্ড হওয়ার প্রত্যাশার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিও করতে চায় তারা।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক হোটেলে প্রাণ-আরএফএলের প্লাইম্যাক্স ব্র্যান্ডের উদ্বোধন করা হয়। আরএফএল শিল্পগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল নতুন ব্র্যান্ডটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্লাইম্যাক্স পার্টিকেল বোর্ডের প্রতি পিসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ৯৬০ টাকা। প্লাইম্যাক্স ব্র্যান্ডের পার্টিকেল বোর্ড উৎপাদন করছে নরসিংদীর ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত নিজস্ব কারখানায়। কারখানার বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ১৩ লাখ পিস, যা আগামী ২ বছরের মধ্যে ৫ গুণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ খাতে প্রাণ-আরএফএল শিল্পগোষ্ঠীর মোট বিনিয়োগ ২০০ কোটি টাকা। যার মাধ্যমে বর্তমানে মোট ৫০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী দুই বছরে আরও এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় পার্টিকেল বোর্ডের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ছে। ব্যবহারের প্রধান ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্নিচার, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, কিচেন ক্যাবিনেট, দরজা ও ফ্লোর টাইলস।

অনুষ্ঠানে আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, ‘আমরা নিজেদের আসবাবপত্র উৎপাদন করতে গিয়ে দেখলাম প্রচুর বোর্ড লাগে। বিদেশ থেকেও আমদানি করতে হয়। তাই আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে ভাবলাম নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি। নিজেদের বোর্ড দিয়ে আসবাবপত্র বানালে আরও কম দামে দিতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাঁচামাল হিসেবে যেসব গাছে ফুল হয় না, এমন গাছ ব্যবহার করব।’

প্রাণ-আরএফএলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কাজী রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্লাইম্যাক্স পার্টিকেল বোর্ড প্যারাফিন মোমযুক্ত, যা পানি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

অনুষ্ঠানে আরএফএল গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল্লামা মুর্শিদ মুনিম, প্লাইম্যাক্স পার্টিকেল বোর্ডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান এবং বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং শফিক শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ