৪৪তম বিসিএসে রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষর: ফেসবুকে সারজিস
Published: 23rd, October 2025 GMT
৪৪তম বিসিএসের রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
আজ বেলা ১টার দিকে ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘৪৪তম বিসিএস রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আজ স্বাক্ষর করেছেন। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারির ব্যবস্থা হবে।’
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে ১১৫ পদে চাকরির সুযোগ৬ ঘণ্টা আগেএর আগে গত মঙ্গলবার ৪৪তম বিসিএসের রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের ফাইল ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন সারজিস আলম।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল গত ৩০ জুন প্রকাশ করেছিল। ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের বিপরীতে সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৬৯০ জনকে। তবে তাঁদের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন (রিপিট ক্যাডার)। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ, সমালোচনা ও বিতর্কের পর পিএসসি বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে রিপিট ক্যাডারের জায়গায় মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা যায়।
আরও পড়ুন৩ দফা দাবিতে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডারদের মানববন্ধন২১ অক্টোবর ২০২৫কিন্তু বিধি সংশোধনের প্রশাসনিক জটিলতায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়নি। ফলে রিপিট ক্যাডার-সম্পর্কিত নয়, এমন ১ হাজার ৩১৮ জন প্রার্থীর নিয়োগও শুরু হয়নি। সাধারণত ফলাফল প্রকাশের পরপরই ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ পরবর্তী ধাপ শুরু হয়।
৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়।
প্রার্থীদের অভিযোগ, রিপিট ক্যাডার-সংক্রান্ত বিধি সংশোধনে দেরি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। অনেকের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউ মানসিক চাপে ভুগছেন।
আরও পড়ুনরংপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে ৫৭ পদে নিয়োগ০১ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব
ঘরের মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাকিব ঘোষণা দিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও কোনো ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি।
২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। দেশে ফিরে আবার দেশের বাইরে যাওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের থেকে সাড়া পাননি। ‘হুমকি’ থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকিও নেননি তারা।
কানপুরে সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যাওয়ার এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ফেরার কথা বলেছিলেন। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডে ছাড়ার ইচ্ছা ছিল তার। সেটাও হয়নি। আর টেস্টেও সুযোগ হয়নি। ফলে মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার বাসনা পূরণ হয়নি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের।
তবে এখনও সেই ইচ্ছাটা পুষে রেখেছেন তিনি। । রোববার প্রকাশিত ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের ইচ্ছা কথা বলেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, “আনুষ্ঠানিকভাবে সব সংস্করণ থেকে অবসর নেইনি আমি। এই প্রথম এটি প্রকাশ করছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেওয়া।”
“আমি বলতে চাই, একটি সিরিজে সব সংস্করণ থেকে অবসর নিতে পারি। এটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করে ওয়ানডে ও টেস্ট, অথবা টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-এভাবে হতে পারে। এর যেভাবেই হোক, আমি খুশি; কিন্তু আমি একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নিতে চাই। এটাই আমি চাই।” - যোগ করেন তিনি।
২০২৪ সালে ভারত সফরের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে সাকিব। তবে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলে বেড়াচ্ছেন সাকিব। এখন যেমন খেলছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি)। দেশের হয়ে একটি সিরিজ খেলার অপেক্ষাতেই নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন সাকিব, এমনটাই বুঝিয়েছেন, ‘‘আমি আশাবাদী। এজন্যই আমি (টি-টোয়েন্টি লিগ) খেলছি। আমার মনে হয় এটা হবে। আমার মনে হয়, যখন একজন খেলোয়াড় কিছু বলে, তার কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। তারা সাধারণত হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করে না। আমি ভালো খেলি কি-না, তা বিবেচ্য নয়। এরপর, আমি একটা খারাপ সিরিজও খেলতে পারি।”
ঘরের মাঠে ভক্ত-সমর্থকদের সামনে বিদায় নিতে চান সাকিব,“আমার মনে হয় এটাই যথেষ্ট। এটা ভক্তদের বিদায় জানানোর একটা ভালো উপায় যে, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে, ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে তাদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়া।”
ঢাকা/ইয়াসিন