যে দেশে সড়কে ঘুরে বেড়ায় শত শত বিড়াল
Published: 23rd, October 2025 GMT
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি দেশ হলো সাইপ্রাস। বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকেরা এই দেশে আসেন। পর্যটকদের জন্য দেশটির লিমাসল, পাফোস, লার্নাকার মতো সাগর পারের শহরগুলোতে রয়েছে নানা আয়োজন৷ তবে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কারণ হলো সড়কে ঘুরে বেড়ানো শত শত বিড়াল।
ভূমধ্যসাগরের পূর্ব কোণের ছোট্ট একটি দ্বীপদেশ সাইপ্রাস। এ দেশে মোট জনসংখ্যা ১০ লাখের কিছু বেশি। কেউ কেউ দাবি করেন, সাইপ্রাসে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের চেয়েও বেশি। সাইপ্রাসের মানুষ বিড়াল ভালোবাসেন। সড়কে ঘুরে বেড়ানো বিড়ালের জন্য তারা খাবার রেখে যান।
আরো পড়ুন:
লা রিভে হেমন্তের পোশাক
কাজের ভার কমাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা যা করেন
সাইপ্রাসের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তির একটি হচ্ছে পর্যটন। আর পর্যটনকে জনপ্রিয় করে তুলতে এসব বিড়ালের অবদান রয়েছে। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক বিড়াল দেখতে দেশটিতে আসেন।
বন্য বিড়ালের দল খাবার ও আশ্রয়ের সন্ধানে সড়কে উঠে আসে। তারপর সেগুলো সড়কে ঘোরাফেরা করার সময় কখনো কখনো চলন্ত গাড়ির সামনে চলে আসে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সেদেশের প্রশাসন। বিড়ালের সংখ্যা অনেকে হয়ে যাওয়াতে সরকারিভাবে বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালু করেছে দেশটি।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই দশক আগে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন একটি প্রমাণ খুঁজে পান। যা থেকে তারা দাবি করেন যে, ‘‘মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন গৃহপালিত পশু বিড়াল’’। দেশটিতে প্রায় সাড়ে নয় হাজার বছর আগের বিড়ালের কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শহরের কাছেই পাহাড়–ঝরনা ও সাগর–হ্রদ, ঘুরে আসুন এক দিনে
পাহাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ঝরনার পানি। পাশেই আঁকাবাঁকা হ্রদ। একটু দূরে সমুদ্রসৈকত ঘেঁষে ছোটাছুটি করছে নৌকা। এমন সব দৃশ্যের দেখা মেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। পাহাড়–ঝরনা ও সাগর–হ্রদ সবকিছুই রয়েছে এই উপজেলায়। ফলে সীতাকুণ্ডে ভ্রমণে এসে খুব অল্প সময়েই মুগ্ধ হন পর্যটকেরা।
সীতাকুণ্ডে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় বর্ষা থেকে শীত মৌসুম। বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর থাকে ঝরনা। তবে এ সময় ভ্রমণ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই শীত মৌসুমকেই নিরাপদ ভ্রমণ ও ট্রেকিংয়ের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেন পর্যটকেরা। শীতল আবহাওয়ার কারণে এ সময় পাহাড়, জঙ্গল ও বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে ক্লান্তি লাগে না। সহজেই পাহাড়ে বেয়ে ওপরে ওঠা যায়।
সীতাকুণ্ডের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কের পূর্ব পাশে সারি সারি পাহাড়। আর সেখানেই রয়েছে ঝরনা ও হ্রদ। পাহাড়গুলোয় হনুমান–বানরসহ বন্য প্রাণীর ছোটাছুটি, ঝিঁঝি পোকার ডাক ও পাখির কলতান উপভোগ করা যায়। আর পশ্চিম দিকে সমুদ্রসৈকত। সেখানে বসে উপভোগ করা যায় লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি, সাগরের গর্জন ও মাছ ধরার নৌকাসহ মনোরম নানা দৃশ্য।
সীতাকুণ্ড উপজেলাটি চট্টগ্রাম নগরের পাশেই। ফলে চট্টগ্রাম নগর থেকে মাত্র এক দিনেই সীতাকুণ্ডের পাহাড়–ঝরনা ও সাগর–হ্রদের দৃশ্য উপভোগের সুযোগ রয়েছে। তবে সময় থাকলে দুই থেকে তিন দিনের ভ্রমণের পরিকল্পনাও নিতে পারেন। একটু আগেভাগে কোথায়, কীভাবে যাবেন—এসব ঠিক করে রাখলে ভ্রমণ যেমন আনন্দদায়ক হবে, তেমনি খরচও কম হবে।
সীতাকুণ্ডে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাহাড় ট্রেকিং ও ঝরনা–হ্রদ সকালে ঘুরে দেখাই ভালো। তাহলে বিকেলে সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়ানো যায়। সাগরপাড়ে বসে দেখা যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য।
সীতাকুণ্ডে মোট আটটি ঝরনা রয়েছে। ঝরনাগুলো হলো সহস্রধারা–১, রূপসী ঝরনা, সুপ্তধারা, সহস্রধারা–২, মধুখাইয়া, বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া বিলাসী ঝরনা ও কুমারীকুণ্ড। এর মধ্যে সহজেই সহস্রধারা–২ ঝরনাটিতে যেতে পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু অন্য সাতটি ঝরনায় যেতে হলে পর্যটকদের পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে হয়।সীতাকুণ্ডে মোট আটটি ঝরনা রয়েছে। ঝরনাগুলো হলো সহস্রধারা–১, রূপসী ঝরনা, সুপ্তধারা, সহস্রধারা–২, মধুখাইয়া, বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া বিলাসী ঝরনা ও কুমারীকুণ্ড। এর মধ্যে সহজেই সহস্রধারা–২ ঝরনাটিতে যেতে পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু অন্য সাতটি ঝরনায় যেতে হলে পর্যটকদের পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে হয়। পাহাড় ডিঙিয়ে ঝরনার কাছে যাওয়ার রোমাঞ্চকর যাত্রা পর্যটকেরা বেশ উপভোগ করেন। সীতাকুণ্ডে ঘুরে বেড়ানোর মতো তিনটি সমুদ্রসৈকত রয়েছে। এর মধ্যে আকিলপুর ও বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত বালুময়। এর বাইরে গুলিয়াখালী সৈকতটি ম্যানগ্রোভ বনযুক্ত।
কম পরিশ্রমে ঝরনা, হ্রদ ও সমুদ্রসৈকত দেখতে এক দিনের ভ্রমণের পরিকল্পনায় রাখতে পারেন সহস্রধারা ঝরনা–২ ও লবণাক্ষ হ্রদ ও গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। তবে কিছুটা পরিশ্রম করলে এর সঙ্গে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সুপ্তধারা ঝরনা ও সহস্রধারা ঝরনা–১ ঘুরে আসা যায়। সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের জন্য কিছুটা কষ্টকর যাত্রা হয় চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, রূপসী ঝরনা ও বিলাসী ঝরনায় যাওয়ার ক্ষেত্রে। তবে সুবিধা হলো সীতাকুণ্ডের সব পর্যটন স্পটই মাত্র ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
পানির ওপরে আগুন জ্বলছে। সীতাকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড মন্দিরে এই দৃশ্য আর অগ্নিকুণ্ড ঝরনা দেখতে প্রায়ই আসেন পর্যটকেরা। সম্প্রতি তোলা