নাটোর জেলা কারাগারের জেলার শেখ মো. রাসেলকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের একটি মোবাইল নম্বর থেকে নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল পরিচয় তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে জেলার শেখ মো. রাসেল নাটোর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আরো পড়ুন:

আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অপরাধ: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ১৩

জিডি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতের +৯১৭০৪৪২৩৭৭৬৯ নম্বর থেকে জেলার রাসেলের সরকারি ফোনে কল আসে। কলদাতা নিজেকে নাটোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল হিসেবে পরিচয় দেন। কথোপকথনের সময় জেলার নিশ্চিত হন, কণ্ঠটি শিমুলের কণ্ঠের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

এক পর্যায়ে কলদাতা জেলারকে নির্দেশ দেন, নাটোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো.

কোয়েলের জামিনের তথ্য যেন কেউ জানতে না পারে। কোয়েল হত্যাসহ অন্তত ১০টি মামলার আসামি। তার কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

এরপর বুধবার রাতে একই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে আবারো হুমকি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুনরায় দুটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয়।

প্রথম মেসেজে লেখা ছিল, “আপনি যে অন্যায় কাজটা করলেন, আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, মনে রাখবেন—আপনার বউসহ পরিবারের সবাইকে কীভাবে রক্ষা করবেন, সেটা ঠিক করে রাখবেন।”

দ্বিতীয় মেসেজে বলা হয়, “আপনার বিষয়টি নোট করে রাখা হয়েছে।”

নাটোর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম মেনে ১৫ দিন আগে কোয়েলকে অন্য মামলার হাজিরার জন্য কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে।

জেলার শেখ মো. রাসেল বলেন, “আমি সরকারি নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পালন করেছি। তবু এমন হুমকি পেয়েছি। ভয় পাইনি, তবে পরিবারের কথা ভেবে থানায় জিডি করেছি।”

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, “জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ, প্রথমার্ধে পিছিয়ে ঋতুপর্ণারা

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে আগের হিসাব পাল্টানোর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের।

তবে ব্যাংককের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধে সেই স্বপ্নে আপাতত ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।

বাংলাদেশ নারী দল এর আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, ২০১৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে ৯–০ গোলের বড় হার দেখেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও মুখোমুখি দুই দল।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় দেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা ফল জানার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে এক গোল করে।
এ ম্যাচ দিয়েই সাড়ে তিন মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল।

একই সঙ্গে আগামী বছরের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিও শুরু হলো এই প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ড ৫৩তম, বাংলাদেশ আছে ১০৪ নম্বরে। ম্যাচের আগে গোলকিপার রুপনা চাকমা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সেরাটা দিতে চাই, আমাদের লক্ষ্য জেতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ