সিলেট চেম্বারের নির্বাচনপূর্ব তফসিল অনুযায়ী আয়োজনের ক্ষেত্রে আইনগত আর কোনো বাধা নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার আদালত এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম প্যানেল থেকে পরিচালক পদপ্রার্থী আবদুর রহমান রিপন। উচ্চ আদালতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন পরিচালক পদপ্রার্থী কামরুল হামিদ। আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে কামরুল হামিদের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন বলেন, আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্বাচন স্থগিতের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। ফলে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন।

চেম্বার সূত্রে জানা যায়, আগামী ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভিন প্রথম আলোকে বলেন, দাপ্তরিকভাবে আদালতের নির্দেশনার কোনো চিঠি এখনো তিনি পাননি। তবে মুঠোফোনে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার একটি কপি পেয়েছেন।

সিলেট চেম্বারের এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল থেকে ৪২ জন প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে চেম্বারের কয়েকজন সাধারণ সদস্য ভোটার তালিকা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে সদস্য তালিকা হালনাগাদ করে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন সরকার নিযুক্ত প্রশাসক।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনার পর উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রার্থী। তাঁদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি স্থগিত করেন এবং নির্ধারিত দিনে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেন।

সিলেট চেম্বারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা দুটি প্যানেলে অংশ নিচ্ছেন। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম নামের এ দুটি প্যানেল থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন।

নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার পর গত সোমবার সিলেট জেলা প্রশাসককে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি দেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা। একই দাবিতে ওই দিন সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী ফোরামের নেতারাও।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর প র ক ষ ত ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান

বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।

ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্‌ক্‌ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।

প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।

রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫

ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।

পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক

হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।

আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ