Risingbd:
2025-12-08@11:42:49 GMT

তবুও স্বীকৃতি নেই তার!

Published: 8th, December 2025 GMT

তবুও স্বীকৃতি নেই তার!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের অন্যতম সফল নির্মাতা-গীতিকার দেওয়ান নজরুল। ‘দোস্ত দুশমন’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘কালিয়া’, ‘বারুদ’—প্রতিটি সিনেমা ছিল বাণিজ্যিক সফলতার দৃষ্টান্ত। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দোস্ত দুশমন’ সিনেমায় অভিনেতা জসিমের খল চরিত্র তুমুল সাড়া ফেলেছিল। জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজও তার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তার নির্মিত অনেক সিনেমার গান আজও দর্শকদের মুখে মুখে। 

দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে আছেন দেওয়ান নজরুল। তবে হৃদয়ের টানে মাঝেমধ্যে বিএফডিসিতে বেড়াতে আসেন তিনি। কিন্তু চিরচেনা জায়গায় এসে জাগে আক্ষেপ—স্মৃতির চেয়ে বিস্মৃতি যেন তাকে বেশি ঘিরে ধরে। 

আরো পড়ুন:

‘নারী শাসিত পুরুষ’ বলায় আসিফকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী

নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?

দেওয়ান নজরুল বলেন, “আমাকে তো কেউ আর সেভাবে স্মরণ করেন না। এখনকার মিডিয়ার কেউই আমাকে তেমন চেনে না।” 

‘দোস্ত দুশমন’ ছিল দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যাকশনধর্মী সিনেমার মধ্যে অন্যতম। এ তথ্য উল্লেখ করে দেওয়ান নজরুল বলেন, “তখন সিনেমাটির সেন্সর প্রিন্ট পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় ছিল ১২ লাখ টাকা। মুক্তির পর সারাদেশে দারুণ ব্যবসা করে। তখন সামাজিক বা পারিবারিক সিনেমা বেশি হতো। ‘দোস্ত দুশমন’ অ্যাকশন ধারার নতুন ট্রেন্ড তৈরি করে। চলচ্চিত্রে নতুন এক ডাইমেনশন আসে।” 

২০০৫ সালে সর্বশেষ ‘দোজখ’ সিনেমা নির্মাণ করেন দেওয়ান নজরুল। শুধু নির্মাতা নন, গীতিকার হিসেবেও ছিলেন সফল। তার লেখা চার শতাধিক গানের মধ্যে ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘চুপি চুপি বলো’, ‘পাখির বাসার মতো দুটি চোখ’, ‘দুনিয়াটা মস্ত বড়’, ‘নাচ আমার ময়না তুই’—এসব গান আজও শ্রোতাপ্রিয়। তার লেখা কয়েকটি গান বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা বাংলা চলচ্চিত্রের গানের তালিকায় স্থান পেয়েছিল। 

নিজের সৃজনশীলতা প্রসঙ্গে দেওয়ান নজরুল বলেন, “তখন আমি সিনেমার দৃশ্য মাথায় রেখে গান লিখতাম। প্রতিটি গান ছিল আলাদা স্টাইলে।” 

কথা প্রসঙ্গে আসে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বিষয়। সেখানেই জমে থাকা অভিমান ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে। দেওয়ান নজরুল বলেন, “আমি আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোনো অ্যাওয়ার্ড পাইনি। আমার করা ১৭টি সিনেমার প্রতিটিই পুরস্কারের যোগ্য ছিল। যারা অ্যাওয়ার্ড দেয় তারা হয়তো নিজেরাই জানে না কারা প্রকৃত প্রাপ্য।”  

খানিকটা ব্যাখ্যা করে দেওয়ান নজরুল বলেন, “আমার প্রতিটি সিনেমা ব্যবসা করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ এসব সিনেমা দেখেছে। তারা আমাকে ভালোবেসেছে—এটাই আমার আসল পুরস্কার। শত শত গান লিখেছি; আজও মানুষ সেগুলো শোনে। মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষের ভালোবাসাই আমার অ্যাওয়ার্ড।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র দ স ত দ শমন চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

‘পপির জন্য অনেক তো অপেক্ষা করলাম, আর কত’

তরুণ পরিচালক আরিফুর জামান আরিফ ২০১৮ সালে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ শিরোনামে সিনেমা নির্মাণে হাত দেন। সিনেমাটিতে জুটি হওয়ার কথা ছিল ফেরদৌস ও পপির। মাত্র দুদিনের শুটিংয়ের পরই থেমে যায় পুরো প্রজেক্ট—ফেরদৌস রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, আর পপি চলে যান আড়ালে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সাত বছর।

মাস দুয়েক আগে পরিচালক জানান, ফেরদৌসকে সিনেমার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার একইভাবে বাদ গেলেন নায়িকা পপিও। তাদের জায়গায় কারা আসছেন—এ বিষয়ে এখনো মুখ খুলছেন না এই নির্মাতা।

আরো পড়ুন:

তবুও স্বীকৃতি নেই তার!

‘নারী শাসিত পুরুষ’ বলায় আসিফকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ওমর সানী

আরিফুর জামান আরিফ বলেন, “কোনো কুল-কিনারা না পেয়েই তাদেরকে সিনেমা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে। অনেক তো অপেক্ষা করলাম আর কত!”

নতুন শিল্পী কারা—প্রশ্ন উঠতেই পরিচালক বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না। পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খুব শিগগির জানাতে পারব।”

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের (২০২৬) ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’-এর শুটিং। দিনটি নির্বাচন করা হয়েছে বিশেষ কারণে, এদিন বাংলা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আরিফ বলেন, “এই দিনটিতেই চূড়ান্ত ঘোষণার মাধ্যমে শুটিং শুরু হবে।”

প্রসঙ্গত, শরৎচন্দ্রের জীবনদর্শন অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটিতে তার চরিত্রে অভিনয় করছেন গুণী অভিনেতা গাজী রাকায়েত। বাকি চরিত্র ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা শিগগির প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ