শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ
Published: 8th, December 2025 GMT
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের দাবিতে শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই রাস্তার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা ভবন মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এখন শুধুই অধ্যাদেশ।
তারা জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সকল অংশীজনের মতামত নিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় খসড়া চূড়ান্ত করার অভিপ্রায়ে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর এবং গত ১৭ নভেম্বর যথাক্রমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই সুশীল সমাজের সঙ্গে তিনটি সভা আয়োজন করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখনো আমাদের চূড়ান্ত মুক্তি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের কোনো গতিশীলতা আমাদের চোখে পড়ছে না। সেই সঙ্গে পরিচয় সংকট ও একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার মুখে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ চলমান সকল শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী।
আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৈকত হাসান বলেন, ‘‘আমারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আজকের মধ্যে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারি করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাই। গতকাল থেকে আন্দোলন করতে করতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সরকারকে বলব, আর টালবাহানা না করে দ্রুত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ প্রণয়ন করুন। আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেন।’’
এদিকে, শিক্ষার্থীদের অবরোধকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য দেখা গেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
ঢাকা/রায়হান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন ট র ল ইউন ভ র স ট আম দ র অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ৪ নারী
নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার চার নারীকে রোকেয়া পদক ২০২৫ দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ প্রাপ্ত চার নারী হচ্ছেন নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা। জাতীয় পুরস্কার–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি রোকেয়া পদকের জন্য ওই চারজনের নাম চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে। গত বৃহস্পতিবার সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চারজনের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেওয়া হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তাঁর গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাঁদের ক্ষমতায়ন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াইটা এই বাংলায় রোকেয়াই শুরু করেছিলেন।
৯ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। ১৯৩২ সালের এই দিনেই মারা যান তিনি। দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম হয়। রোকেয়া খাতুন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, মিসেস আর এস হোসেন নামেও লিখতেন এবং পরিচিত ছিলেন তিনি। ঊনবিংশ শতকে নারীরা যখন অবরোধবাসিনী, সেই সময়ে নারীর পরাধীনতার বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন।