2025-12-08@11:54:18 GMT
إجمالي نتائج البحث: 5

«শরৎচন দ র»:

    সহজ সাবলীল স্বতঃস্ফূর্ত― শরৎচন্দ্রের লেখাগুলি সম্পর্কে এ ক’টা শব্দ ব্যবহার করাই যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমরা এও জানি, যার যা শক্তি, তাই হয়ে ওঠে তার দুর্বলতা। সাহিত্যের ক্ষেত্রে জটিল গ্রন্থিল গম্ভীর হওয়াটাই ‘আধুনিক’ বলে গণ্য। ফলে কারো কারো মতে, ওই তিনটি শরৎচন্দ্রের যতটা না শক্তি ততটাই যেন দুর্বলতা। অনেক আধুনিক লেখক নিজেদের তৈরি করতে গিয়ে মনে করেছেন, বাংলা গল্প-উপন্যাসচর্চায় শরৎচন্দ্রের আর দরকার নেই। কারণ, বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথের পর শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের নিরাকরণ। তাকে পারলে পুরোপুরি বাদ দিয়ে পরের বিভূতি-তারাশঙ্কর-মানিক-সতীনাথ অব্দি দিব্যি চর্চা করলেই হাতে তৈরি হবে গদ্য এবং গল্প-উপন্যাস লেখার তাকত। অথচ এই সত্যও সবাই জানেন, শরৎচন্দ্র না হলে বিভূতি-তারাশঙ্কর-মানিক অন্তত এত আগে আগে বা রবীন্দ্রনাথ থাকতে থাকতেই, তৈরি হতেন না। রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকিয়ে শরৎচন্দ্রের যেমন বিস্ময়ের অবধি ছিল না, তেমন শরৎচন্দ্রের আকুল-ব্যাকুল করা...
    তরুণ নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফের বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ আবারো নতুন উদ্যোগে শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে সিনেমাটির কাজ শুরু হলেও নানা জটিলতা ও অনিশ্চয়তায় থেমেছিল সিনেমাটি। অবশেষে নির্মাতা জানালেন—এবার ফেরদৌস আহমেদ থাকছেন না এই প্রজেক্টে।  সিনেমাটির গল্পে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের পাশাপাশি তার সৃষ্ট চরিত্রগুলোর উপস্থিতিও তুলে ধরা হয়েছে। শুরুতে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফেরদৌস আহমেদ, আর পার্বতীর চরিত্রে ছিলেন সাদিকা পারভীন পপি। দুজনেই মাত্র দুদিনের শুটিংয়ে অংশ নেন। এরপর নানা কারণে কাজটি আর এগোয়নি।  আরো পড়ুন: আমি পালিয়ে যাইনি: বাপ্পী চৌধুরী ধর্মের জন্য অভিনয়কে বিদায়: বিয়ে করে সমালোচনার মুখে জাইরা নির্মাতা আরিফ বলেন, “ফেরদৌস ভাই অনেক দিন ধরে সিনেমায় কাজ করছেন না। তার সঙ্গে শুটিংয়ের সময় নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি,...
    সচরাচর যা দেখা যায়—লেখক তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবন পেরিয়ে নানা উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতায় পরিণত হচ্ছেন, গ্রহণ করে নিতে পারছেন নানা কিছু, বদলে যাচ্ছে তাঁর লেখা, কিন্তু পাঠক সেই যে তাঁর প্রথম দিককার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন, তা থেকে আর বের হতে পারছেন না। অর্থাৎ লেখকের মনের বয়স বাড়ছে, পাঠকের বাড়ছে না। ফলে লেখকের নতুন ধরনের লেখা যা তিনি নতুন যুগের বা চিরকালের দাবি মাথায় রেখে—পাঠক হারানোর ঝুঁকি সত্ত্বেও—লিখে চলেন, সেগুলো প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও কৌতূহলের মুখোমুখি হবে তা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে সাহিত্য-ইতিহাস যা বলে—পাঠকের চেয়ে অগ্রসর লেখকেরা শেষ পর্যন্ত সফল হন। যেসব লেখার কারণে সমকালের পাঠকেরা একসময় বিব্রত হয়েছিলেন, সেগুলোর জন্যই পরবর্তীকালে লেখক যে কালজয়ী হয়েছেন, সেসব দৃষ্টান্তও ইতিহাসে কম নয়। তাই পাঠকের সমকালীন ক্রিয়ায় লেখককে ক্ষুব্ধ হলে চলে না,...
    পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নাম বলতেই চট্টগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা বাসটি একেবারে স্কুলের ফটকে নামিয়ে দিল। ফটকে ধাতব ফলকে বড় করে বিদ্যালয়ের নাম লেখা। সেদিক দিয়ে ঢুকতেই সাবেকি আমলের টিনের ছাউনির একটা বাংলো প্যাটার্নের ঘর। টানা বারান্দার এক কোণের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নাম। পাশেই শহীদদের তালিকা। এসব দেখতে দেখতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসে পড়ি। সেখানে দুটি বড় সাদা বোর্ডে বিদ্যালয়ের কীর্তিমান ছাত্রদের নাম। তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে বিস্ময় জাগে। দেশ–বিদেশে আলো ছড়ানো সব কীর্তিমান যেন এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন।বিশদে না গিয়ে কেবল কয়েকটা নাম বললেই বোঝা যাবে বিষয়টি। প্রথম ভারতীয় তিব্বতজয়ী ইতিহাসবিদ শরৎচন্দ্র দাশ, কংগ্রেস নেতা ও ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখা যাত্রামোহন সেন, কবি ও ম্যাজিস্ট্রেট নবীনচন্দ্র দাশ, সাহিত্য...
    ‘আশর’ সংখ্যাবাচক আরবি শব্দ। শব্দটির অর্থ দশ। দশে মিলে আমরা যে আসর বসাই; আড্ডা, মজলিশ, সভা বা বৈঠক যা-ই বলি না কেন, এই আসরের উৎপত্তি ওই আশর থেকে। আসর বা আড্ডা জমাতে গুনে গুনে দশজনই প্রয়োজন তেমন কোনো কথা নেই। আড্ডায় পঁচকথা হবে, সেই ‘পাঁচকথা’ও যে পাঁচটি মাত্র কথা নয়- এ অনেকটা তেমন ব্যাপারই বটে!  তবে হ্যাঁ, আসর জমাতে একজনকে চাই-ই-চাই, যার মুখ নিঃসৃত বাণী কথাপুষ্প হয়ে ঝরবে। সুভাষ্য-সুবাসে শ্রোতা মুগ্ধ হবেন, হুল্লোড় তুলে সহাস্যে বিষম খাবেন, বিস্ময়ে চোখ কপালে তুলে বলবেন- ‘ও তাই!’ সেই একজনের কথায় কথা বাড়বে, কথার খৈ ফুটবে, চিড়ে ভিজবে, এমনকি পাহাড়ও টলে উঠতে পারে! আড্ডায় ওসব হরদম চলে। নইলে জমবে কেন? আষাঢ়ে গল্পই-বা টিকে থাকবে কী প্রকারে? আর কেনই-বা দশের ভিড়ে একজনের কাঁধেই...
۱