2025-05-30@13:04:12 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10
«ইহর ম র»:
তামাত্তু হজ। এক ইহরামে ওমরাহ শেষ করে আরেক ইহরামে মূল হজ করাকে তামাত্তু হজ বলে। অনেক হজযাত্রী তামাত্তু হজ করেন। তামাত্তু হজের নিয়মগুলো দেখে নিন। ওমরাহর ইহরাম (ফরজ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে আপনাকে গোসল বা অজু করে নিতে হবে। মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরতে হবে। অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...) পড়তে হবে। ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ) অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ইজতিবা বলে। হাজরে আসওয়াদ সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান। সেখানে ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। এরপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন,...
মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে। ৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)। ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ। ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা। নারীদের ইহরাম নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়। ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত...
হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন।● হজ বা ওমরাহ করতে গেলে অনেক দোয়া, দরুদ, সুরা, আয়াত মুখস্থ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এসব দোয়া মুখস্থ করতে গিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। বই দেখে দেখে সবকিছু পড়া যাবে। শুধু নিয়মগুলো জেনে নেবেন কোথায় কী করতে হবে।● নারীদের হজে যেতে হলে মাহরামের প্রয়োজন হয়। ● নারীরা ইহরাম হিসেবে সেলাই করা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন।● ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখমণ্ডল আবৃত রাখবেন না।● ইহরাম অবস্থায় নারীরা গয়না পরতে পারবেন। জুতা বা স্যান্ডেল এবং মোজা পরতে পারবেন। আরও পড়ুনহজযাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে প্রথম আলোর হজ গাইড১০ মে ২০২৫হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই...
১৯৫৪ সালে আইরিশ নাবিক নরম্যান ফ্রিম্যানের লেখা ‘অ্যান আইরিশম্যানস ডায়েরি অন আ পিলগ্রিম শিপ টু জেদ্দা’ প্রবন্ধে বাংলার হজযাত্রীদের একটি প্রাণবন্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রবন্ধটি ‘আইরিশ টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজ সারধানাতে ফ্রিম্যানের অভিজ্ঞতার বিবরণ পাওয়া যায়। এই জাহাজে তিনি চাকরিরত অবস্থায় ১ হাজার ৫০০ হজযাত্রীকে জেদ্দা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার একটি কন্ট্রাক্টে অংশ নেন।১৯৫৪ সালের আগস্ট মাসে হজ অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় বিমানযাত্রার বিস্তৃতির কারণে জাহাজে হজযাত্রী পরিবহন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। তবে সারধানা জাহাজ এই কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে হজযাত্রী পরিবহনের দায়িত্ব পায়। এটি ফ্রিম্যান ও তাঁর ক্রুদের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল, কারণ তাদের কোম্পানির অন্যান্য জাহাজ অতীতে হাজার হাজার হজযাত্রী পরিবহন করলেও এ ধরনের কাজ তখন বিরল হয়ে পড়েছিল।হজযাত্রীদের দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা...
বেশির ভাগ হজযাত্রী তামাত্তু হজ করেন। এক ইহরামে ওমরাহ শেষ করে আলাদা ইহরাম করে হজ করাকে তামাত্তু বলে। ১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ)পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিতে হবে। মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরুন, অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিন। শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...) পড়ে নিন। ২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ)অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ‘ইজতিবা’ বলে। হাজরে আসওয়াদ সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান (ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন)। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। তারপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন, যেন হাজরে আসওয়াদ পুরোপুরি আপনার সামনে থাকে। এরপর হাত তুলে...
আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায়, নাকি মদিনায়, তা জেনে নিন। যদি মদিনায় হয়, তাহলে এখন ইহরাম করতে হবে না। যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম করতে হবে। বেশির ভাগ হজযাত্রী আগে মক্কায় যান। যদি মক্কায় যেতে হয়, তাহলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরামের নিয়ত করা ভালো। কারণ, জেদ্দা পৌঁছানোর আগেই ‘মিকাত’ (ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান) পাবেন।বিমানে যদিও ইহরামের নিয়ত করার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন; আর বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাও দৃষ্টিকটু। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে এ জন্য দম বা কাফফারা দিতে হবে। হজ তিন প্রকার—তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ। হজের মাসগুলোয় (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) ওমরাহর নিয়তে ইহরাম করে, ওমরাহ পালন করে, পরে হজের নিয়ত করে হজ পালন করাকে হজে তামাত্তু বলে।পবিত্র হজের সময় একই সঙ্গে...
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। (বুখারি: ৭) আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)হজ ও ওমরাহর আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর করা, ভ্রমণ করা। পরিভাষায় হজ মানে হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা হারাম মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন।হজের নির্ধারিত স্থান হলো: মক্কা মুকাররমায় কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর রওজা শরিফ।হজের পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো সময় ওমরাহ হজ করা যায়। ইহরামসহ কাবাঘর তাওয়াফ করা ও সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডন করা বা চুল কাটা ওমরাহ হজের...
হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি এবং সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য ফরজ। হজ পালনের জন্য নির্দিষ্ট বিধিবিধান মেনে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ বা ১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিনের কার্যক্রম পালন করতে হয়। নিচে হজের পাঁচ দিনের কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো: প্রথম দিন (৮ জিলহজ): ইহরাম ও মিনায় অবস্থানইহরাম বাঁধা: হজের প্রথম দিন হজযাত্রীরা মক্কার হারাম শরিফ, বাসা বা হোটেল থেকে হজের নিয়ত করে ইহরাম বাঁধেন। ইহরামের জন্য পুরুষেরা দুই টুকরো সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরেন এবং নারীরা সাধারণ পোশাক পরে নিয়ত করেন। মিনায় যাত্রা: ইহরামের পর হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশে রওনা হনমিনায় কার্যক্রম: মিনায় ৮ জিলহজের জোহর থেকে ৯ জিলহজের ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। এ সময় মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। হজযাত্রীরা এখানে তাকবির, তাসবিহ, দোয়া এবং কোরআন তিলাওয়াতে...
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম জানান, এবার যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা দেওয়া, স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ, হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করা দরকার। হজ পালনের প্রশিক্ষণও নিতে হবে। হজ প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য তথ্য ঢাকার আশকোনা হজ কার্যালয় থেকে জানা যাবে। হজযাত্রীরা মাস্ক পরবেন। ৪০ দিনের ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখবেন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বইপুস্তক পড়ে বা পরিচিত লোকজনের কাছ থেকেও হজবিষয়ক তথ্য জানতে পারেন। আর হজের প্রয়োজনীয় তথ্য www.hajj.gov.bd ঠিকানার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। হজে যাচ্ছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করুন, ‘হে আল্লাহ! আমার হজকে সহজ করো, কবুল করো’—দেখবেন, আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হজের...
কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সে সকল মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা আল–ইমরান, আয়াত: ৯৭) হজ সম্পন্নকারীকে ‘হাজি’ বলা হয়।সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য ওমরাহ পালন করা সুন্নত। ওমরাহর ফরজ দুটি—ইহরাম ও তাওয়াফ। ওয়াজিব দুটি—সাফা ও মারওয়া সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডন করা বা চুল কাটা। হজের নিয়তকে ইহরাম বলা হয়। সম্পাদন পদ্ধতি অনুসারে হজ তিন প্রকার—১. ইফরাদ, ২. কিরান ও ৩. তামাত্তু।শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ (একক হজ) বলা হয়। ইফরাদ হজ পালনের জন্য ঢাকা থেকে শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে মক্কা শরিফে পৌঁছার পর তাওয়াফ ও সাঈ করে ইহরাম না ছেড়ে ১০ জিলহজ হজ সম্পন্ন হওয়ার পর ইহরাম ত্যাগ করতে হবে।হজ ও ওমরাহর জন্য একত্রে ইহরামের...