Prothomalo:
2025-05-29@17:58:16 GMT

মা-বোনদের জন্য দুটি কথা

Published: 28th, May 2025 GMT

হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন।

●      হজ বা ওমরাহ করতে গেলে অনেক দোয়া, দরুদ, সুরা, আয়াত মুখস্থ করতে হবে, তা নয়। কাজেই এসব দোয়া মুখস্থ করতে গিয়ে শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। বই দেখে দেখে সবকিছু পড়া যাবে। শুধু নিয়মগুলো জেনে নেবেন কোথায় কী করতে হবে।

●      নারীদের হজে যেতে হলে মাহরামের প্রয়োজন হয়। 

●      নারীরা ইহরাম হিসেবে সেলাই করা যেকোনো পোশাক পরতে পারেন।

●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা মুখমণ্ডল আবৃত রাখবেন না।

●      ইহরাম অবস্থায় নারীরা গয়না পরতে পারবেন। জুতা বা স্যান্ডেল এবং মোজা পরতে পারবেন। 

আরও পড়ুনহজযাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে প্রথম আলোর হজ গাইড১০ মে ২০২৫হজে গেলে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আপনাকে জামাতে পড়তে হবে। তাই পরিচিত কারও কাছ থেকে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়মটি জেনে নিন।

●   নারীদের ইজতিবা করতে হবে না।   

●      তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে দ্রুত ও বীরদর্পে চলাকে রমল করা বোঝায়। নারীদের জন্য রমল করারও প্রয়োজন নেই।

●      ঋতুমতী নারীদের জন্য নামাজ আদায় ও তাওয়াফ করা যাবে না। এ ছাড়া ইহরাম বাঁধা, সাঈ করা এবং হজের অন্যান্য কার্যক্রম করা যাবে। 

●      সাঈ করার পুরো অংশই তাঁরা স্বাভাবিক গতিতে চলবেন। 

●      ওমরাহ বা হজের পর নারীরা তাঁদের চুলের সামান্য অংশ (প্রায় ১ সেন্টিমিটার বা আঙুলের এক কড় পরিমাণ) কাটবেন। 

●      মিনা ও আরাফাহর তাঁবুতে যথাসম্ভব সময়কে কাজে লাগিয়ে দোয়া-দরুদ, তাসবিহ, তাহলিল, তওবা ও ইস্তিগফার পাঠ করা উত্তম। 

●      মদিনার মসজিদে নববিতে বেশি বেশি দরুদ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন। 

●      হজরত মুহাম্মদ (সা.

)–এর রওজা মোবারকের সামনে ধাক্কাধাক্কি, তাড়াহুড়া বা উচ্চ স্বরে কথা না বলে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে দরুদ ও সালাম পেশ করুন। রিয়াজুল জান্নাতে নম্র ও বিনয়ের সঙ্গে সুবিধামতো নামাজ আদায় করতে পারেন।

●      নারীরা অন্যের পক্ষে হজ বা বদলি হজ করতে পারবেন। নারীরা ছোট বাচ্চা নিয়েও হজ করতে পারবেন। 

লেখক: সাবেক অতিরিক্ত সচিব

আরও পড়ুনহজের সময় ঋতু শুরু হলে২৫ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র জন য প রব ন ইহর ম

এছাড়াও পড়ুন:

নন্দকুঁজা নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করার দাবি

দখল-দূষণ থেকে নন্দকুঁজা নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলা সদর চাঁচকৈড় গরুর হাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে কৃষক, মৎস্যজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে তারা নদী রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সমাজসেবক রাশিদুল ইসলাম, চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আলী আক্কাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার উপজেলা সহসভাপতি কে.এম. রাকিবুল ইসলাম। 
বক্তারা বলেন, ‘নন্দকুঁজা নদী শুধু একটি জলপ্রবাহ নয়, এটি আমাদের এলাকার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে নদী দখলমুক্ত করতে হবে।’ 
ইউএনও ফাহমিদা আফরোজ জানান, নদী ঘিরে থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। পৌরসভার বর্জ্য অন্যত্র ফেলা এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ