যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ভূখণ্ড হারানোর ভয়—ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে হতাশ ইউক্রেনীয়রা
Published: 15th, August 2025 GMT
রণাঙ্গনে ইউক্রেনের সেনাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় হুমকি ড্রোন হামলা। তাঁরা এ ধরনের হামলা মোকাবিলা ও রুশ ড্রোন ধ্বংস করতে শুরু হওয়া নতুন প্রশিক্ষণকে ‘ড্রোনোসাইড’ বলেন।
ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ড্রোন হামলা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হতাহতের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এগুলো। যদি আজ শুক্রবার আলাস্কায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে না পারেন, তবে পূর্ব ইউক্রেনে চলমান ওই প্রশিক্ষণ হয়তো রণাঙ্গনে প্রাণ বাঁচানোর জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়বে।
এদিকে রুশ সেনাদের লড়াইয়ের অব্যাহত প্রস্তুতিও ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইউক্রেনের খুব কম মানুষ এই যুদ্ধ শিগগির থামবে বলে আশা করছেন।
ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণটি তেমন আধুনিক নয়, একটি শটগান তাঁদের প্রতিরক্ষার অস্ত্র। সেনারা প্রথমে মাটি থেকে, পরে চলমান অবস্থায় দ্রুতগামী লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানোর মহড়া দেন। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ইহর সেনাদের বলেন, কাছাকাছি দূরত্বে কোনো ড্রোন ভূপাতিত করতে এখন শটগানই তাঁদের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র।
ইহর ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্ব রণাঙ্গনে লড়ছেন। ওই বছর রাশিয়া অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল করে এবং দনবাসে সেনা পাঠায়। যুদ্ধে ইহরের কোডনেম ‘দ্য নাইফার’। তিনি সেনাদের মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষণ দেন।
ইহর ১০ বছর ধরে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামানোর চেষ্টা করছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ‘ভূমি বিনিময়’ বা কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বা আমার সহযোদ্ধাদের কেউ এ জন্য প্রস্তুত নই। আমরা আমাদের ভূখণ্ড মুক্ত করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’
ইউক্রেনীয় সেনারা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা ক্লান্ত। তাঁরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এ প্রশিক্ষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তাঁরা এখনো হাল ছাড়েননি।তবে ইহরের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। কিছু রণাঙ্গনে ইউক্রেনের সেনারা জনবল–সংকটে ভুগছেন। এক সেনা বলেন, নতুন করে আরও সেনা মেতায়নের চেষ্টা বিপর্যয়ের নামান্তর হবে। কেননা, তাঁরা জানেন, এখনো অস্ত্রশস্ত্র ও জনবলে পিছিয়ে আছেন তাঁরা।
ইউক্রেনীয় সেনারা স্বীকার করেছেন, তাঁরা ক্লান্ত। তাঁরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে ওই প্রশিক্ষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তাঁরা এখনো হাল ছাড়েননি।
শটগান চালানোর অনুশীলনরত ইউক্রেনীয় সেনা ওলেক্সি বলেন, যুদ্ধে ইতিমধ্যে তিনি তাঁর বাবা ও বন্ধুদের হারিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেন, যেভাবেই হোক এ যুদ্ধ থামাতে হবে। তবে রাশিয়াকে আরও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই পরামর্শ দেব না। আমি এটা পছন্দ করি না।’
ইউক্রেনের সেনারা দাবি করেছেন, এ যুদ্ধে রাশিয়াও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে। প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষ হতাহত হচ্ছে। রাশিয়ার যুদ্ধের রসদও ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে।
সাঁজোয়া যানে ইউক্রেনের সেনারা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র স ন স ব ক র কর ইউক র ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
সেপ্টেম্বরে আর্জেন্টিনার দুই ম্যাচ, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আর
দুই মাসের বিরতির পর সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে আবার মাঠে ফিরবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ইতোমধ্যেই লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা আলবিসেলেস্তেরা সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে খেলবে দুটি ম্যাচ। ৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১০ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরে অ্যাওয়ে ম্যাচে। ইকুয়েডরের বিপক্ষের এই লড়াই বাছাইপর্বে তাদের শেষ ম্যাচ।
তবে এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। বাছাইপর্ব শেষ হলেও ফিফা উইন্ডোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুরু করবে বিশ্ব সফর। এর প্রথম গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। অক্টোবরের ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে শিকাগো ও নিউ জার্সিতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। যদিও প্রতিপক্ষের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গ্যাস্তন এদুল জানিয়েছেন, সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।
অক্টোবরের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর নভেম্বর উইন্ডোতে আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের সঙ্গে, আর এশিয়া সফরে কাতারের মাঠে খেলবে স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে।
আরো পড়ুন:
সাফ শিরোপার মিশনে ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
চোট কাটিয়ে ফেরার পথে মেসি, মায়ামি ভক্তদের আশার আলো
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে আর্জেন্টিনা। ১৬ ম্যাচে ১১ জয়, ২ ড্র ও ৩ হারে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা নিশ্চিত করেছে লাতিন অঞ্চলের শীর্ষস্থান। এমনকি শেষ দুই ম্যাচে হারলেও তাদের অবস্থান বদলাবে না।
ঢাকা/আমিনুল