গতকাল বুধবার হামদর্দ বাংলাদেশ-এর প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পুনর্মিলনী ও ‘ইহরাম নিম বাথিং বার’-এর আকর্ষণীয় নতুন মোড়কের লঞ্চিং অনুষ্ঠান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বাংলাদেশ-এর চিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র পরিচালক পরিকল্পনা, উন্নয়ন, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস্ অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার পলিন।

ড.

হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, “প্রতিষ্ঠান দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমি হামদর্দ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা নিজে ও পরিবারের জন্য হামদর্দের ওষুধ ও পণ্য ব্যবহার করুন। এটি কেবল স্বাস্থ্যরক্ষাই নয়, প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থারও প্রতিফলন।”

অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার পলিন বলেন, “হামদর্দ সব সময় প্রাকৃতিক ও কার্যকর পণ্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ যে ‘ইহরাম নিম বাথিং বার’-এর মোড়ক উদ্বোধন হলো, তা এমন একটি স্বাস্থ্যবান্ধব পণ্য যা জীবাণুনাশক ও ত্বক-সুরক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব আনোয়ার, পরিচালক প্রশাসন আবদুল মজিদ, উপ-পরিচালক প্রশাসন ও পরিচালক প্রটোকল অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স (অ.দা) মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক ফাউন্ডেশন আবদুল হক, উপ-পরিচালক মার্কেটিং ডা. তৈমুর চৌধুরী, উপ-পরিচালক বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আবু জাফর সাদেকসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় নতুন মোড়কে উপস্থাপিত ‘ইহরাম নিম বাথিং বার’-এর কার্যকারিতা, প্রাকৃতিক উপাদান ও সংবেদনশীল ত্বকে এর ভূমিকা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়। নিম তৈল ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই সাবান ত্বককে জীবাণুমুক্ত, সতেজ ও সুগন্ধময় রাখে; এটি চুলকানি, ফুসকুড়ি, ঘাম ও অন্যান্য ত্বকজনিত সমস্যায় বিশেষ কার্যকর। হামদর্দের এই উদ্ভাবন স্বাস্থ্য সচেতনতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে উপস্থিত সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

ঢাকা/সুমন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইহর ম ন ম ব থ অন ষ ঠ ন হ মদর দ উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ