দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও ফেল সাকিব, আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল বিসিবি
Published: 11th, January 2025 GMT
খবরটা অনানুষ্ঠানিকভাবে আগেই পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার জেনেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। সে খবরটাই বিসিবি সংবাদবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিশ্চিত করল আজ—চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। যার অর্থ, বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধই থাকছে।
খবরটি এমন সময়ে এল, যখন আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চূড়ান্ত দল জমা দেওয়ার আর ১ দিন বাকি। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের সে দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সাকিব এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় ফেল করলেন। গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সময় তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। এ জন্য ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বার্মিংহামের লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে আইসিসি অনুমোদিত কেন্দ্রে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব। পরে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানায়, সাকিব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। আর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া তিনি বোলিং করতে পারবেন না।
আইসিসি বিধি অনুযায়ী সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বোলিংয়ের অযোগ্য হয়ে পড়েন। বোলিং নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে আবার পরীক্ষা দেন সাকিব। আজ বিসিবির সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রী রমাচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে দেওয়া স্বতন্ত্র পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষায়ও সাকিব উত্তীর্ণ হতে পারেননি। যার ফলে ইসিবির দেওয়া পূর্বের রায় বহাল থাকছে।
বোলিংয়ের অনুমতি পেতে হলে সাকিবকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। সেই পরীক্ষা চাইলে তিনি আরও দিতে পারবেন। তবে একবার নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়ে বোলিংয়ে ফেরার পর যদি আবার প্রশ্নবিদ্ধ হন, তাহলে পরবর্তী এক বছরের নিষিদ্ধ থাকবেন।
বিসিবি জানিয়েছে, সাকিবের বিষয়টি নিয়ে সংস্থাটি এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করবে না।
সাকিব বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।
জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে