আগুনে পুড়ল জামায়াত নেতার বসতঘর
Published: 13th, December 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লানারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়া বসতঘরটি ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজের।
মো. পারভেজ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বসতঘরটি টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি। রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই ঘুমাতে যাই। সাড়ে তিনটার দিকে দেখি, বাড়িতে আগুন জ্বলে উঠেছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
মো.
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব। আগুন লাগার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঘরে একাই থাকতেন বৃদ্ধা, আগুনে পুড়ে মৃত্যু
শরীয়তপুরে নিজ বসতঘরে আগুন লেগে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত বৃদ্ধার নাম কামরুন নাহার (৮৫)। তিনি ঢালীকান্দি গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। ৩০ বছর আগে মোসলেম মারা যান। ওই দম্পতির কোনো সন্তান না থাকায় বাড়িটিতে কামরুন নাহার একাই বসবাস করতেন। আশপাশের প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁর দেখাশোনা করতেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার ভাষ্য, টিন ও কাঠের তৈরি ঘরটিতে একাই থাকতেন কামরুন নাহার। গতকাল শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে ওই বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন তিনি ঘরের ভেতরে ছিলেন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে ততক্ষণে কামরুন নাহার পুড়ে মারা যান।
খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কামরুল নাহারের দেবরের ছেলে আবদুস সালাম বলেন, ‘ভোরে ঘুমানো ছিলাম, ছেলের চিৎকারে হঠাৎ ঘুম ভাঙে। উঠে দেখি কাকির ঘরে আগুন লেগেছে। পরে আগুন নেভাই। কিন্তু ততক্ষণে কাকি পুড়ে মারা গেছেন। ঘরটিতে বিদ্যুতের লাইন ছিল না। কাকি ঘরে মালসা (মাটির তৈরি বড় বাটি বা সরা) রাখতেন। ধারণা করছি, সেই আগুন থেকেই ঘরে আগুন লেগেছে।’
এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।