গাজীপুর মহানগরে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদ, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা ও পদচারী–সেতু নির্মাণের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কয়েকজন বিক্ষোভকারী বলেন, নাওজোর এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি পদচারী–সেতু খুবই দরকার। এই মহাসড়কের দুই পাশে ছোটবড় ২০টি পোশাক কারখানা আছে। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি শিল্পকারখানার হাজার হাজার শ্রমিক এখানে বসবাস করেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি স্কুল–কলেজে শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। প্রতিনিয়ত এখানে নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

আজ প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অংশ নেন। পরে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে পদচারী–সেতুর জন্য এলাকাবাসী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেছে।

বডি ফ্যাশন ও আইসিএল কারখানার সিওও সাব্বির আহমেদ বলেন, নাওজোর এলাকায় নিরাপদভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ও প্রাণ বাঁচাতে নাওজোর ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে একটি পদচারী–সেতু খুবই জরুরি। এটি নির্মাণের দাবিতে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, এলাকাবাসী নাওজোর এলাকায় একটি পদচারী–সেতুর দাবিতে মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা নিজেরাই মহাসড়ক থেকে সরে যান। এ সময় প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক ব স দ র ঘটন পদচ র

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।

১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।‎

‎কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই ‎মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’

নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
  • জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন
  • এক ডাক্তারের বদলি বাতিল, আরেকজনের অপসারণ চাইলেন চাটমোহরবাসী
  • বাস্তবের ‘জীবন নিয়ে খেলা’
  • মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি