শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে খুন করে পালাল স্বামী, শাশুড়ি আহত
Published: 17th, January 2025 GMT
চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এসময় মেয়েকে রক্ষা করতে এসে ছুরিকাঘাতে মাও মারাত্মক আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৭) ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে ও আহত পারভীন আক্তার (৩৮) তার স্ত্রী।
অভিযুক্ত স্বামী শওকত হাসান মেহেদী (২৬) চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজম উল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (২২)।
নিহতের বাবা আবদুল হামিদ জানান, গেল ৮ মাস আগে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে তার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে খবর দিলে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার মেহেদি তার বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে মেয়ের বাবা ও মা বাধা দেন। আত্মীয়স্বজন নিয়ে আসলে শ্বশুরবাড়িতে যেতে দেবে এমনটা বলার পর স্বামী মেহেদি চলে যান। পরে দুপুরে জুমার নামাজ চলাকালীন মেহেদি পুনরায় বাড়িতে এসে তার মেয়ে তুহি ও তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। জুমার নামাজ শেষে এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে তুহিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
পরে মারাত্মক আহত তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ইউরোভিশনের ট্রফি ফেরত দিচ্ছেন সুইস সংগীতশিল্পী নেমো
আন্তর্জাতিক গানের প্রতিযোগিতা ইউরোভিশনে ইসরায়েলের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সুইজারল্যান্ডের সংগীতশিল্পী নেমো নিজের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল অনবরত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরও দেশটিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার নেমো পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
নেমো তাঁর গাওয়া ‘দ্য কোড’ গানটির জন্য ২০২৪ সালে ইউরোভিশন পুরস্কার জিতেছেন। তাঁর মতে, ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রতিযোগিতার আদর্শিক জায়গার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আর সে আদর্শিক জায়গাটি হলো সব মানুষের অন্তর্ভুক্তি ও সবার মর্যাদা বজায় রাখা।
ইউরোভিশনের আয়োজক সংস্থা ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)–এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী পদক্ষেপের সর্বশেষ সংযোজন এটি। গত সপ্তাহে ইবিইউ ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে সরে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন বলে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি ও সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। এই মূল্যবোধগুলোর কারণেই এ প্রতিযোগিতাটি আমার কাছে এত অর্থবহ। কিন্তু যখন কিনা জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে (অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চল, পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েল বিষয়ক তদন্ত) গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তখন বোঝা যায়, ওই আদর্শগুলোর সঙ্গে ইবিইউর নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো স্পষ্টত সাংঘর্ষিক।’
আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের জাতিহত্যামূলক যুদ্ধের প্রতিবাদে ইউরোপজুড়ে লাখো মানুষের বিক্ষোভ৩০ নভেম্বর ২০২৫ইসরায়েল বারবার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে হামাসের নেতৃত্বে হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। ওই হামলার কারণেই এই যুদ্ধের সূচনা হয়েছে।
গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম আরইউভির খবরে বলা হয়েছে, দেশটি ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না। গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও স্লোভেনিয়াও একই ধরনের ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুনইসরায়েলিদের বাধায় নিজেদের জমিতে যেতে পারেন না ফিলিস্তিনিরা, বিপর্যয়ে জলপাইশিল্প০৪ ডিসেম্বর ২০২৫