ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তল্লাশি অভিযান চলছে: ডিএমপি
Published: 12th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
শুক্রবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডিএমপি এই ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
ডিএমপি জানায়, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও স্থানগুলোতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার মতো এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে ডিএমপি আশা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ডিএমপি আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানানো হয়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, থানা-ডিবির পাশাপাশি পুলিশের সব ইউনিট হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে কাজ করছে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় কোনো মামলা হয়নি।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে বেড়ানোর সময় বন বিভাগের কার্যালয়ে আটকে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
শরীয়তপুরে বন বিভাগের কার্যালয়ে এক নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে।
গত মঙ্গলবার রাত রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকার বন বিভাগের একটি নির্জন স্থান থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
পালং মডেল থানাসূত্রে জানা যায়, ২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ শরীয়তপুরের একটি গ্রামের বাসিন্দা। মা–বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি ভাইয়ের সংসারে থাকতেন। কয়েক বছর আগে বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরই মধ্যে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। মঙ্গলবার ওই ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কলেজের কাছে আসেন। সেখান থেকে দুজন মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক ধরে হাঁটতে থাকেন। সন্ধ্যায় সড়কের পাশে বন বিভাগের কাছে কয়েকজন বখাটে তাঁদের আটকে ফেলে। পরে বন বিভাগের ভেতরের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তাঁদের দুজনকে মারধর করা হয়। ওই সময় এক ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ওই নারী ও তাঁর পরিচিত কলেজছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
গতকাল বুধবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপর তিনি পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় মারুফ নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা সন্দেহে পুলিশ গতকাল রাতে চারজনকে আটক করেছে।
ভুক্তভোগী নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এক পূর্বপরিচিত বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। তার সঙ্গে সড়ক দিয়ে হাঁটছিলাম। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় কয়েকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়। তারা আমাকে চড়থাপ্পড় মেরে ও আমার বন্ধুকে মারধর করে একটি সরকারি অফিসের ভেতরের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ওই অফিসের ভেতরে থাকা কয়েকজন এ দৃশ্য দেখেন, কিন্তু আমাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেননি। তারা দীর্ঘ সময় আমাকে আটকে রেখে হেনস্তা করেছেন। একজন আমাকে শারীরিকভাবে ক্ষতি করেছে। আমি বাধা দিতে চাইলে আমাকে মারধর করা হয়। ওদের হাতে–পায়ে ধরেছি, তা–ও শোনেনি।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।