মালদ্বীপ: বিদেশি আগ্রাসন রুখে দেওয়ার দিন
Published: 13th, December 2025 GMT
ভারত মহাসাগরের বুকে ছোট ছোট প্রবালদ্বীপের মালা দিয়ে সাজানো দেশ মালদ্বীপ। পর্যটকদের কাছে এটি স্বর্গরাজ্য হলেও দেশটির ইতিহাসে আছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের রাত, যা শেষ হয়েছিল এক বীরোচিত বিজয়ের মাধ্যমে। আজ ১৩ ডিসেম্বর (মালদ্বীপের স্থানীয় ক্যালেন্ডারে ৩ নভেম্বর হলেও বিজয়ের এই মাসে আমরা সেই সংগ্রামের প্রতীকী দিনটিকে স্মরণ করছি) মালদ্বীপের সেই প্রতিরোধের গল্প জানব। মালদ্বীপে দিনটি ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়।
১৯৮৮ সাল। মালদ্বীপের শান্ত নীল জলরাশিতে আচমকা ঝড় ওঠে। শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘প্লট’–এর ভাড়াটে সেনারা স্পিডবোটে করে গোপনে রাজধানী মালে আক্রমণ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের সরকারকে উৎখাত করা। ভোররাতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো দখল করে নেয়। মালদ্বীপের নিজস্ব কোনো শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছিল না, ছিল না ভারী কোনো অস্ত্র। মনে হচ্ছিল, দেশটির সার্বভৌমত্ব বুঝি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হারিয়ে যাবে।
মালদ্বীপের জাতীয় পতাকা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ে গাছ-বাঁশ-ছনের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট একটি স্কুল। নাম তার ‘পাওমুম থারক্লা’। ম্রো ভাষায় যার অর্থ ‘ফুলের কলি ফোটাতে হবে’। এই স্কুলের শিশুরা কেউ কোনো দিন লামার বাইরেও যায়নি। অভিভাবকদের অবস্থাও প্রায় একই। পাহাড়ের আড়ালে থাকা এই শিশুরা এবার ঢাকায় আসছে নিজেদের গল্প বলতে—প্রথমবারের মতো।
২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের পাওমুম থারক্লা স্কুলে শিশুরা পড়ছে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ১৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে ‘ফ্রম হিলস টু হোপ’ উৎসব। সেখানে অংশ নেবে এই স্কুলের ২৬ শিশুসহ ম্রো জনগোষ্ঠীর ৪০ জন। তাঁরা জানাবেন, পাহাড়ের জীবন, সংস্কৃতি, স্বপ্ন আর সংগ্রামের কথা। এই শিশুদের চোখে ঢাকা শহর দেখবে এক অন্য রকম পৃথিবী। উৎসবে পাহাড়ের শিশুদের স্বপ্নগুলো যেন ডানা মেলতে পারে, সে আহ্বানও থাকবে।
পাহাড়ের ওপর অবস্থিত পাওমুম থারক্লা স্কুলের শিশুরা কেউ কোনো দিন লামার বাইরেও যায়নি