শহিদুল নিজ খরচে তিন কিলোমিটার সড়কে লাগিয়েছেন ১৪০০ তালগাছ
Published: 13th, December 2025 GMT
রাজশাহীর বাগমারার একটি সড়ক ভবানীগঞ্জ-বান্দাইখাঁড়া। এই সড়কের ডালানিতলা থেকে ছোটকয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ তালগাছ। গাছগুলো লাগিয়েছেন শহিদুল ইসলাম (৪২)। তিনি একটি স্কুলের ল্যাবে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।
শহিদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের মুরারীপাড়া গ্রামে। তিনি বড় বিহানালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কাজ করেন। জানালেন, কিছু পাওয়ার জন্য নয়; বরং সড়কের ক্ষতি ঠেকানো, বজ্রপাত থেকে রক্ষা, সৌন্দর্য বাড়ানো ও দুর্ঘটনা রোধে গাছগুলো লাগিয়েছেন।
শুরুর দিনগুলো
২০১০ সালের কথা। তালগাছ রক্ষার জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে শহিদুল ইসলাম তালের আঁটি (বীজ) সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তালের মৌসুমে এলাকায় প্রচার করেন, কেউ যেন রস নেওয়ার পর বীজ ফেলে না দেন, তিনি এগুলো কিনে নেবেন। এভাবে বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তিনি তালবীজ সংগ্রহ করেন। প্রতিটি বীজ তিনি এক থেকে দুই টাকায় কিনে নেন। এভাবে প্রায় দুই হাজার বীজ সংগ্রহ করেন তিনি।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে গাছগুলো বড় করেছেন শহিদুল।কলেজশিক্ষক ফরিদ উদ্দিনশহিদুল ইসলাম বীজগুলো সড়কের দুই পাশে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর আগ্রহের কথা শুনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তখনকার চেয়ারম্যান প্রয়াত রফিকুল ইসলাম রাজি হন। তখন শহিদুল সড়কের দুই পাশে ১ হাজার ৭০০টি তালবীজ রোপণ করেন।
রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ-বান্দাইখাঁড়া সড়কের ডালানিতলা থেকে ছোটকয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে শহিদুলের লাগানো তালগাছ।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
শহিদুল নিজ খরচে তিন কিলোমিটার সড়কে লাগিয়েছেন ১৪০০ তালগাছ
রাজশাহীর বাগমারার একটি সড়ক ভবানীগঞ্জ-বান্দাইখাঁড়া। এই সড়কের ডালানিতলা থেকে ছোটকয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ তালগাছ। গাছগুলো লাগিয়েছেন শহিদুল ইসলাম (৪২)। তিনি একটি স্কুলের ল্যাবে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।
শহিদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার বড় বিহানালী ইউনিয়নের মুরারীপাড়া গ্রামে। তিনি বড় বিহানালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কাজ করেন। জানালেন, কিছু পাওয়ার জন্য নয়; বরং সড়কের ক্ষতি ঠেকানো, বজ্রপাত থেকে রক্ষা, সৌন্দর্য বাড়ানো ও দুর্ঘটনা রোধে গাছগুলো লাগিয়েছেন।
শুরুর দিনগুলো
২০১০ সালের কথা। তালগাছ রক্ষার জন্য কিছু করার তাগিদ থেকে শহিদুল ইসলাম তালের আঁটি (বীজ) সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তালের মৌসুমে এলাকায় প্রচার করেন, কেউ যেন রস নেওয়ার পর বীজ ফেলে না দেন, তিনি এগুলো কিনে নেবেন। এভাবে বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তিনি তালবীজ সংগ্রহ করেন। প্রতিটি বীজ তিনি এক থেকে দুই টাকায় কিনে নেন। এভাবে প্রায় দুই হাজার বীজ সংগ্রহ করেন তিনি।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে গাছগুলো বড় করেছেন শহিদুল।কলেজশিক্ষক ফরিদ উদ্দিনশহিদুল ইসলাম বীজগুলো সড়কের দুই পাশে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর আগ্রহের কথা শুনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তখনকার চেয়ারম্যান প্রয়াত রফিকুল ইসলাম রাজি হন। তখন শহিদুল সড়কের দুই পাশে ১ হাজার ৭০০টি তালবীজ রোপণ করেন।
রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ-বান্দাইখাঁড়া সড়কের ডালানিতলা থেকে ছোটকয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারজুড়ে শহিদুলের লাগানো তালগাছ।