লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে থাকা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল অ্যালভিন হোলসি স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকালে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। নির্ধারিত মেয়াদের দুই বছর আগেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

এমন একসময়ে হোলসির পদত্যাগের ঘোষণা এল, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমিরকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বুধবার ভেনেজুয়েলার একটি তেল ট্যাংকার জব্দের পাশাপাশি মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির একাধিক নৌযানে ২০টি বেশি হামলা চালিয়েছেন মার্কিন সেনারা।

তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুজন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের চাপের কারণে অ্যাডমিরাল অ্যালভিন হোলসি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

দুই কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম ও পরিকল্পনায় শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ে দক্ষিণ কমান্ডের কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন হেগসেথ।

এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হোলসিকে বরখাস্ত করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন হেগসেথ।

কেন আগাম অবসরের ঘোষণা দিলেন, তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি হোলসি। কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলের সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে হামলার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।

কিন্তু গত মঙ্গলবার কিছু জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতার সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে হোলসি জোর দিয়ে বলেছেন, তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে কমান্ডের কার্যক্রমের সম্পর্ক নেই। সংবাদমাধ্যম পলিটিকোতে রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতা মাইক রজার্স এ মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে নিজের সহকারী বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইভান পেটাসের কাছে কমান্ডের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে যাচ্ছেন হোলসি। পেটাস যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশনস কমান্ডের ভাইস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ডোনোভানকেই সম্ভবত হোলসির উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করবেন। তবে মনোনয়ন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হয়নি এবং তা পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র কর মকর ত কম ন ড র পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

পাঞ্জাবের আইনসভায় ইমরান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবিতে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

দেশটির বর্তমান শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন)–এর সঙ্গে পিটিআইয়ের চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এমন একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত আসার কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী নাম উল্লেখ না করে ইমরান খানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, তিনি (ইমরান) সেনাবাহিনীবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সেনাবাহিনীবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য এখন আর রাজনীতির পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’

তার পর থেকে পিএমএল-এন ও পিটিআই নেতাদের মধ্যে কথার লড়াই চলছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ইমরান খান অতীতে কঠিন ভাষায় বিরোধী রাজনীতিকদের সমালোচনা করেছেন। তাই সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলার কোনো অধিকার তাঁর নেই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আইএসপিআরের মহাপরিচালকের মন্তব্যকে পিটিআই ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করে কঠোরভাবে এর নিন্দা জানিয়েছে। পিটিআই জোর দিয়ে বলেছে, ইমরান খান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নন।

পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন উপস্থিত ছিলেন না।

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় মঙ্গলবার পিএমএল-এন আইনপ্রণেতা তাহির পারভেজ পিটিআইন নেতা ইমরান খান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি আনেন। প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা এদিন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁরা অধিবেশন বর্জন করেন।

পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন
  • পাঞ্জাবের আইনসভায় ইমরান ও তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গৃহীত