গোপালগঞ্জে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকের সামনের রাস্তায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে পরপর দুবার বিকট শব্দ শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘রাত নয়টা বা তার কিছু পর আমি কোর্টের সামনে দিয়ে মডেল স্কুলের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পরপর দুটি বিকট শব্দ শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম আশপাশে কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে বাজি ফোটানো হচ্ছে। পরে জানতে পারি আদালতের সামনে দুর্বৃত্তরা পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’

ঘটনাস্থলের কাছেই গোপালগঞ্জ ফুটবল স্টেডিয়াম ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের কিছু অংশে হলুদাভ দাগ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে কিছু পাউডারজাতীয় পদার্থ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা শনাক্ত করা হবে।

পুলিশ বলছে, সংবেদনশীল এলাকায় এই বিস্ফোরণকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

পরপর হিট গান, তারপরও ১৭ বছর কেন কাজ হয়নি হাবিব–অলিক জুটির

কিছু সম্পর্ক থাকে, যা বছরের ব্যবধানে মিলিয়ে যায় না, অপেক্ষা করে শুধু ফিরে আসার। হাবিব ওয়াহিদ এবং এস এ হক অলিক ঠিক তেমনই দুটি নাম। সংগীত–সিনেমা দুই ভুবনের এই দুজন মানুষের কাজের সম্পর্কটা দেড় যুগের। অডিওতে শ্রোতাপ্রিয় গান দিয়ে এই জুটির শুরু হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর এই মাধ্যমে তাঁদের কাজ করতে দেখা যায়নি। তাই বিরতির পর আবার যখন তাঁদের জুটি ফিরছে, শ্রোতাদের নস্টালজিয়া যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। গানের খবর প্রকাশ নিয়ে হাবিব ওয়াহিদ ও অলিকের ফেসবুক পোস্টের দিকে তাকালে তেমনটা লক্ষ করা গেছে। দুজনের ভক্ত–শ্রোতারা যেন নতুন গানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

নাটক ও সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি এস এ হক অলিক গানও লেখেন। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। সময়টা ২০০৭ সাল। শিরিনের ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’ অ্যালবামে বোনাস ট্র্যাক হিসেবে ছিল হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্সির গাওয়া ‘বলে তো দিয়েছি হৃদয়ের কথা’। গানটি প্রকাশের পরপরই ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয়তা। পরে গানটির সেই ঢেউ গিয়ে লাগে কলকাতার চলচ্চিত্রেও। টলিউডের ‘বিন্দাস’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয় গানটি, বড় পর্দায় তাতে ঠোঁট মেলান দেব ও শ্রাবন্তী। এপার বাংলার সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও গানটি দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।
পরের বছর, ২০০৮ সালে, হাবিবের জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘বলছি তোমাকে’তে অলিকের লেখা নতুন তিনটি গান জায়গা পায়। ‘বলো কেন এমন হয়’ ও ‘জোছনা কথা বলো না’—দুটি গানেই কণ্ঠ দেন হাবিব। একই অ্যালবামে হাবিবের সুরে সংগীতশিল্পী বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ গেয়েছিলেন ‘কী নামে ডাকব তোমায় নীল জোছনা’।

গায়ক হাবিব ওয়াহিদ ও পরিচালক এস এ হক অলিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরপর হিট গান, তারপরও ১৭ বছর কেন কাজ হয়নি হাবিব–অলিক জুটির
  • মধ্যপ্রদেশে ইউরিয়া সারের তীব্র সংকট, হয়েছে লুট, দুজন কৃষকের মৃত্যু