অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে জয় পেয়েছে মহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ভারত রেকর্ড ৪৩৩ রান করে জয় পায় ২৩৪ রানে। আর দ্য সেভেন স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান ৩৪৫ রান করে জয় পায় ২৯৭ রানে।

পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে সামির মিনহাজের অপরাজিত ১৭৭ ও আহমেদ হুসেইনের ১৩২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে তোলে ৩৪৫ রান। জবাবে পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১৯.

৪ ওভারে মাত্র ৪৮ রানে অলআউট হয় মালয়েশিয়া। তাদের কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৯টি করে রান করেন দিয়াজ পাত্র ও মুহাম্মদ আকরাম।

আরো পড়ুন:

৪৪ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক অ্যান্ডারসন

পয়েন্ট টেবিলে কিউইদের বড় লাফ, ভারত নেমে গেল ছয়ে

বল হাতে পাকিস্তানের আলি রাজা ১১ রানে ৩টি ও সাইয়াম ২৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। ৬ রানে ২টি উইকেট নেন আলী খান।

এদিকে ভারতের ইনিংসে ব্যাট হাতে রেকর্ড ১৭১ রানের ইনিংস খেলেন ভৈভব সুর্যবংশী। অ্যারোন জর্জ ৬৯ ও ভিহান মালহোত্রাও খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস। এছাড়া ত্রিভেদির ৩৮, কুণ্ডুর ৩২ ও চৌহানের ২৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে রেকর্ড ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে।

জবাবে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর উদ্দিশা সুরির অপরাজিত ৭৮ ও পৃথিবী মাধুর ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৯৯ রান করতে পারে আরব আমিরাত। ম্যাচসেরা হন ভারতের সুর্যবংশী। আর পাকিস্তানের ম্যাচসেরা হন অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা সামির।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন র ইন র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের অযোগ্যতার বিধান নেই ইসির পরিপত্রে

মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এমন বিধান যুক্ত করা হলেও প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা পরিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইসি সচিবালয় এ–সংক্রান্ত একটি পরিপত্র (পরিপত্র-১) জারি করে।

পরিপত্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সময়সূচি জারি, সময়সূচির প্রজ্ঞাপন, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন, সময়সূচির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার ব্যবহার–সম্পর্কিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

পাশাপাশি প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও)১২ অনুচ্ছেদের বিধানগুলো উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই পরিপত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধানটি বাদ পড়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের এই ধারা ভুলবশত পরিপত্রে বাদ পড়েছে। বিষয়টি আমরা ঠিক করে দেব।’

এর আগে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী আরপিও সংশোধন না হলেও গত অক্টোবরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে বিধানটি যুক্ত করা হয়।

সংশোধিত ওই আইনে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া তিনি কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, চেয়ারম্যান বা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগ বা কোনো সরকারি পদে থাকারও অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ