বিশ্বকাপে পর্তুগাল-কলম্বিয়া ম্যাচের টিকিটের সবচেয়ে বেশি আবেদন
Published: 13th, December 2025 GMT
আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে টিকিটের প্রাথমিক আবেদন।
প্রথম পর্বের সেই আবেদনে, প্রথম ২৪ ঘণ্টা ১.৫ মিলিয়ন জমা পড়েছিল। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এ মহোৎসবকে ঘিরে উত্তেজনাও বাড়ছে। টিকিট কিনতেও তৈরি হয়েছে তুমুল উন্মাদনা।
আরো পড়ুন:
ব্যর্থতার বৃত্তে নারী ফুটবল দল, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন
রিয়ালের ৪ তারকা ফুটবলার নিষিদ্ধ
গতকাল দ্বিতীয় পর্বের আবেদনে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ মিলিয়ন টিকিটের আবেদন পড়েছে। টিকিটের উচ্চ মূল্য নিয়ে ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও, এই বিপুল চাহিদা ফিফাকে বেশ আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
ফিফা জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ১১ই জুন থেকে ১৯শে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪৮ দলের প্রথম বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে ভক্তরা আবেদন করেছে।
এদিকে ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপ বৃহস্পতিবার ফিফার কাছে টিকিটের দাম কমানো এবং টিকিট বরাদ্দ ও বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের তুলনায় টিকিটের দাম পাঁচ গুণ বেড়েছে।
ফিফার মতে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টিকিটের আবেদন পড়েছে কলম্বিয়া ও পর্তুগালের ম্যাচে। মিয়ামিতে যেই ম্যাচটি হবে ২৭ জুন। গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচটিকে ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। টিকিটের বাড়তি চাহিদা সেই কথাই বলছে। এরপর আছে ব্রাজিল-মরক্কো (১৩ জুন), মেক্সিকো-দক্ষিণ কোরিয়া (১৮ জুন), ইকুয়েডর-জার্নামিন (২৫ জুন), স্কটল্যান্ড-ব্রাজিল (২৪ জুন)।
আয়োজক তিন দেশ বাদে, টিকিট আবেদনের ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলো হলো কলম্বিয়া, ইংল্যান্ড, ইকুয়েডর, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্কটল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং পানামা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব শ বক প ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
আরও বাড়বে সোনার দাম, ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে উঠতে পারে ৪,৯০০ ডলার
এক বছর ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ছেই। চলতি বছর সোনার দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিভিন্ন পূর্বাভাসে জানা গেছে, ২০২৬ সালেও সেই ধারা বজায় থাকবে।
সোনার দাম যখন আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেল, তখনই অনেক সংস্থা পূর্বাভাস দেয়, সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। সর্বশেষ গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের শেষ ভাগে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯০০ ডলারে উঠে যেতে পারে।
গত দুই মাসে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থা সোনার দাম নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছর সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ৪ হাজার ৯০০ ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
গোল্ডম্যান স্যাকস বাজার বিশ্লেষণ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, বর্তমানে সোনায় যে পরিমাণ বিনিয়োগ হওয়ার কথা, সে পরিমাণ হচ্ছে না। সে কারণে বিনিয়োগকারীরা সোনায় আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছেন। বিষয়টি হলো এখন বিনিয়োগকারীদের সোনা ধরে ধরে রাখার প্রবণতা কম বলে ভবিষ্যতে হঠাৎ যদি বিনিয়োগ বেড়ে যায়, তাহলে সোনার দাম হুট করে অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে সোনার দাম আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে চাহিদা অনেকটা বাড়তে হবে তা নয়; বরং বিনিয়োগকারীরা স্টকে বিনিয়োগের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে সোনা কিনলেই এর দাম অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ যত বেশি বাড়বে, সোনার দাম তার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে।
চলতি বছর ইতিমধ্যে সোনার দাম ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, চলতি বছর সোনার দাম অতটা বাড়বে না। তবে যে দুটি কারণে এ বছর সোনার দাম বেড়েছে, সেই কারণ দূর হবে না।
প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনার ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ পশ্চিমারা জব্দ করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুঝে যায়, এখন সোনায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলও মাস খানিক আগে সে কথা বলেছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫-এ বলা হয়েছে, ৪৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ এখন নীতি সুদ কমাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসেও নীতি সুদহার কমানো হয়েছে। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ২০২৬ সালে আরও ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট হারে নীতি সুদহার কমানো হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সোনার দিকে ঝুঁকে পড়ার যেসব কারণ অতীতে ছিল, সেগুলো এখনো আছে।
ভূরাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজছেন। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের চেয়ে সোনায় বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছেন।
সোনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর দাম সাধারণত কমে না। গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত ২০ বছরে সোনার দাম বেড়েছে ৭১৮ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ; এক বছরে ৬১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।