2025-12-11@19:12:25 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«বম জনগ ষ ঠ»:
দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক আয়োজনে পাহাড়িদের বাঁশনৃত্য বেশ জনপ্রিয়। বাঁশের বাজনার তালে তালে নৃত্যের ছন্দে মোহিত হন দর্শকেরা। বম জনগোষ্ঠীর এই নৃত্যে মানুষ এখন পুলকিত হলেও এর উৎপত্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শোক। বম সমাজে অপঘাত আর প্রসবজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তির সৎকার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর ঘরের উঠানে এই নৃত্য করা হয়।বমদের সমগোত্রীয় লুসাই ও পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যেও বাঁশনৃত্যের প্রচলন রয়েছে। কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও দেশের বাইরে উত্তর-পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতিতে বাঁশনৃত্য রয়েছে।বম ভাষায় বাঁশনৃত্যকে বলা হয়—রোখা ত্লা। এর অর্থ, বাঁশের মাঝে পা ফেলে শোকের নাচন। বমরা বাঁশনৃত্যের সঙ্গে করুণ সুরে গান করেন। করুণ এই গানের একটি—‘রোখা ত্লা হেন রোখা ত্লা হে/ আই কালান কান পু লুচু; যার অর্থ অসময়ে তোমার চলে যাওয়া আমার জন্য অসহনীয়।বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর প্রবীণ...
একদা এক জ্ঞানী বৃদ্ধ বাস করতেন পাহাড়ে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে। তাঁর সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা করত এক কিশোর। সে ভাবত, এই বৃদ্ধকে একদিন বোকা বানাতে হবে। একদিন কিশোরটি একটি কূটবুদ্ধি আঁটল। সে বনে গিয়ে একটি ছোট পাখি ধরল এবং সেটিকে দুই হাতের মুঠোয় রেখে বৃদ্ধের কাছে গেল। তার উদ্দেশ্য ছিল বৃদ্ধকে বোকা প্রমাণিত করা।সে জিজ্ঞাসা করল, ‘বলুন তো, আমার হাতে কী আছে?’বৃদ্ধ জবাব দিলেন, ‘বৎস, তোমার হাতে একটি পাখি আছে।’এরপর এল কিশোরের আসল প্রশ্ন: ‘পাখিটা জীবিত, নাকি মৃত?’প্রশ্নটি ছিল চাতুর্যপূর্ণ। যদি বৃদ্ধ বলতেন ‘জীবিত’, তবে কিশোর পাখিটিকে হাতে চেপে মেরে ফেলবে এবং বলবে, ‘না, এটা মৃত।’ আর যদি বলতেন ‘মৃত’, তখন সে পাখিটি ছেড়ে দিয়ে বলবে, ‘দেখুন, এটা তো জীবিত!’ এভাবে সে বৃদ্ধকে ভুল প্রমাণিত করবে।কিন্তু তিনি ছেলেটির চোখে চোখ রেখে...
কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার দুই দিন পর লালসাংময় বমের মৃত্যু এবং কারা হেফাজতে লালত্লেং কিম বমের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান।বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলমান রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার লালসাংময় বমের মৃত্যুতে আমরা তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ। “সন্ত্রাস দমনে”র নামে বান্দরবানে নির্বিচার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষকে আটক, বিশেষ করে বম জনগোষ্ঠীর নারী, শিশুসহ সাধারণ নাগরিকদের বছরের পর বছর কারাবন্দী রাখার তীব্র নিন্দা জানাই।’লালসাংময় বম ও লালত্লেং কিমের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি নিরপরাধ বম নাগরিকদের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে বম জাতিগোষ্ঠীর যে কাউকে যখন-তখন গ্রেপ্তার বা হয়রানির নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রীয় নীতির শিকার লালসাংময় বমকে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।বিবৃতিতে পরিবারের...
কারাগারে লাল ত্লেং কিম বমের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা বম নারী ও শিশুসহ সম্প্রদায়টির আটক অন্যান্য সদস্যদের মুক্তি এবং চিংমা খেয়াংকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন।রোববার ‘সম্মিলিত আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বম ছাত্র প্রতিনিধি রিচার্ড বম অভিযোগ করেন, তিন বছর ধরে বম জনগোষ্ঠীকে একপ্রকার নজরবন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের অভিযানের নামে পুরো বম জনগোষ্ঠীকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারাগারে আটক করে রাখা...
চট্টগ্রামে কারা হেফাজতে লাল ত্নেং কিম বমের মৃত্যুর বিচার, নিরপরাধ বম নারী-শিশুদের কারামুক্তি এবং চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আদিবাসী ছাত্র সমাজ। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ কর’ স্লোগানে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে এটি হওয়ার কথা ছিল না। পাহাড়ের আদিবাসী নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পাহাড়ে সাধারণ বমদের সন্ত্রাসী বানিয়ে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হচ্ছে, আর আমাদের ঢাকায় এসে বিচার চাইতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে জানাতে চাই, আমি আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি বান্দরবানের মুনলাই পাড়ার জন্য। যে পাড়া দেশের সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম, যে গ্রামের মানুষরা প্রকৃতির মতো সরল তাদের আজ সন্ত্রাসী বানিয়ে...
বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়ক ধরে আট কিলোমিটার গেলে শৈলপ্রপাত ঝর্ণা। সেখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে বম সম্প্রদায়ের নারীরা তাদের কোমর তাঁতের চাঁদর, কম্বল, মাফলার, ওড়না ছাড়াও হস্ত ও কুটিরশিল্পের পণ্য এবং বাগানের ফলমূল বিক্রি করেন। সেই রোজগারে তাদের সংসার চলে। শৈলপ্রপাত ঝর্ণার পাশে লাইমি পাড়া ও ফারুক পাড়া। এ দুই পাড়া মূলত বম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। এখানে দুই শতাধিক বম পরিবারের বসবাস রয়েছে। এসব পরিবারের নারী সদস্যরা বুনন করেন কোমর তাঁত। তৈরি করেন ছোট-বড় সাইজের বিভিন্ন কম্বল, মাফলার ও চাদরসহ বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র। শৈলপ্রপাতে স্থায়ীভাবে কোনো বাজার গড়ে না উঠলেও বম নারীরা নিজ উদ্যোগে একটি অস্থায়ী বাজার গড়ে তুলেছেন। সেখানে খ্রিস্টীয় চার্চ সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কয়েকটি ছোট-বাজার শেডও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে সকাল-সন্ধ্যা বম...
