সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়ি এখন মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাড়িকে কেন্দ্র করে মাদকের রমরমা কারবার চলছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার কাজ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তার ও তার বাহিনী ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটিকে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল। সন্ধ্যা নামলেই এখানে মাদকের প্রকাশ্য হাট বসতো এবং রাতভর চলতো মাদক কারবারিদের আনাগোনা।

কদমতলী এলাকাটি স্কুল-কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে হওয়ায় স্থানীয় অভিভাবকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রকাশ্য মাদক বিক্রির কারণে ছাত্রছাত্রীরা মাদকের দিকে ঝুঁকছিল।

কানা আক্তারের বাহিনীর সদস্য হিসেবে জলিল, আনুর ছেলে আলামিন, চুন্নুর ছেলে সুমন, বাবু, ও নয়নসহ আরও কয়েকজন সরাসরি মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।

সাধারণ মানুষ সলিমখাঁর বাড়ির মালিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন, কারণ একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। স্থানীয়দের দাবি ছিল, অবিলম্বে মাদক ডিলার কানা আক্তার, তার সহযোগী ও আশ্রয়দাতা সলিমখাঁসহ সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি শাস্তির আওতায় আনা হোক।

স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জনদাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালায় এবং শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। স্থানীয়রা এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

সংবাদ প্রকাশের পর সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ মাদকের ডিলার কানা আক্তার গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকার ঐতিহ্যবাহী সলিমখাঁর বাড়ি এখন মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাড়িকে কেন্দ্র করে মাদকের রমরমা কারবার চলছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার কাজ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তার ও তার বাহিনী ঐতিহ্যবাহী এই বাড়িটিকে মাদকের পাইকারি ও খুচরা বিক্রির আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল। সন্ধ্যা নামলেই এখানে মাদকের প্রকাশ্য হাট বসতো এবং রাতভর চলতো মাদক কারবারিদের আনাগোনা।

কদমতলী এলাকাটি স্কুল-কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে হওয়ায় স্থানীয় অভিভাবকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রকাশ্য মাদক বিক্রির কারণে ছাত্রছাত্রীরা মাদকের দিকে ঝুঁকছিল।

কানা আক্তারের বাহিনীর সদস্য হিসেবে জলিল, আনুর ছেলে আলামিন, চুন্নুর ছেলে সুমন, বাবু, ও নয়নসহ আরও কয়েকজন সরাসরি মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।

সাধারণ মানুষ সলিমখাঁর বাড়ির মালিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন, কারণ একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। স্থানীয়দের দাবি ছিল, অবিলম্বে মাদক ডিলার কানা আক্তার, তার সহযোগী ও আশ্রয়দাতা সলিমখাঁসহ সকল মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর আইনি শাস্তির আওতায় আনা হোক।

স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জনদাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালায় এবং শীর্ষ মাদক ডিলার কানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। স্থানীয়রা এই দ্রুত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ